আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর এবিএস ফাজিল মাদরাসায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি আদালতে মামলা চলমান থাকা স্বত্তেও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের দাবী জানানো হয়েছে।
মাদরাসার অধ্যক্ষের পদ শূণ্য হলে জ্যেষ্ঠতার বিধান অমান্য করে ৬ষ্ঠ স্তরের শিক্ষক শহিদুল্যাহকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ১/১১/২০১৭ খ্রিঃ ইআবি/রেজিঃ/প্রশাঃ/২০১৫/৪০৭৩ নং স্মারকে ‘ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় কোন কারণে অধ্যক্ষ না থাকলে তদস্থলে সংশ্লিষ্ট মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ভিন্ন অপর কোন শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করতে পারবেনা। কোন কারণে উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ অসদাচরণ বলে গন্য হবে। উপাধ্যক্ষ না থাকলে জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন।’ আদেশ অমান্য করা হলে, হাফেজ মোয়াজ্জাজ হাসান ও মোস্তফা হেলালুজ্জামান বাদী হয়ে সহকারী জজ আদালত আশাশুনিতে ১১৮/১৭ নং মামলা করেন। ১নং বিবাদীর মৃত্যুর পর মামলা খারিজ হয়ে গেলে, অপর বাদী মোস্তফা হেলালুজ্জামান ৪/১০/২০ তাং মামলা রিভিউ করেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান আছে। অন্যদিকে ঢাকা আলিয়া মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওঃ জি এম মেহরুল্লাহ ১৩/১০/২০ তাং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার আবেদন করেন। কমিটির মেয়াদ ২১/১১/২০ তাং শেষ হয়েছে। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬/৭/২০ তারিখের অফিস আদেশে “যে সকল মাদরাসায় এডহক কমিটি/গভর্নিং বডি সম্পর্কিত মামলা চলমান অথবা আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাদের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ প্রযোজ্য হবেনা” মর্মে নির্দেশ আছে। অন্যদিকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তাং ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্ট্রার ---৮৩৭ নং স্মারকে “ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় কোন কারণে অধ্যক্ষ না থাকলে তদস্থলে সংশ্লিষ্ট মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ভিন্ন অপর কোন শিক্ষক ভারপ্রাপ্তঅধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করতে পারবেননা। কোন কারণে উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতাপ্রকাশ অসদাটরণ বলে গন্য হবে।” এবং “স্মারক---/৪০৭৩, তাং ০১.১১.২০১৭ জারিকৃত অফিস আদেশটি বাতিল বলে গণ্য হবে” মর্মে অফিস আদেশ জারী করা হয়েছে। কিন্তু তা স্বত্তেও ৬ষ্ঠ স্তরের শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়েছে। মাদরাসার একাধিক শিক্ষক, অভিভাবক ও গন্যমান্য ব্যক্তি বলেন, নওয়াবেকী ফাজিল মাদরাসা, চৌমুহনি মাদরাসা, আলমতলা গজালিয়া মাদরাসা, কাজলা মাদরাসা, জয়নগর মাদরাসাসহ অসংখ্য মাদরাসার অধ্যক্ষ ও সুপারদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ একাধিক মামলা হয়েছে। কিন্তু ঐসব প্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণ মাদরাসা পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে আছেন। তারা তাদেরকে স্বপদে বহাল রেখেছেন। অথচ প্রতাপনগর মাদরাসার ক্ষেত্রে উল্টো কাজ হয়েছে, এবং উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, চরিত্রগত বিষোধগারসহ সেখানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা টেনে আনা হয়েছে দাবী করে দাবী করে তারা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধের আবেদন ও অনৈতিক কার্যক্রম প্রতিরোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম করা হচ্ছেনা। মামলা খারিজ হয়েগেছে।