জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগ, সাময়িক বেসাময়িক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নানান কর্মসূচি পালন করছে।
বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে পুস্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর পরপরই রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুপ্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
পরে সকাল ১০ টায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ এম আবদুল আলী মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা শেষে চিত্রাংকন, রচনা, কুইজ, কবিতা আবৃত্তি ও ৭ই মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দরা।
এদিকে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন করেছে লেকার্স পাবলিক স্কুল এ- কলেজে। এ উপলক্ষে লেকার্স পাবলিক স্কুল এ- কলেজ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় দিবসটি উপলক্ষে অনলাইন আলোচনা সভা, অনলাইনে রচনা লিখন প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগে পুরস্কার পৌঁছে দেয়া হয়।
জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় লেকার্স পাবলিক স্কুল এ- কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মো. আরিফ মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত হৃদয়বান, মানবদরদি কিন্তু অধিকার আদায়ে আপসহীন। স্কুলজীবন থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা। এ দেশের মানুষের কাছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন সত্তা। তিনি আরো বলেন, এই দিনে আমি জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আগামী দিনের কর্ণধার শিশু-কিশোরদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
এদিন জোহরের নামাজের পর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে প্রতিষ্ঠানের মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও দিনের শুরুতে সূর্যোদয়ের পরপরই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।