জনগণের মন থেকে কোন দিন বঙ্গবন্ধু নাম মুছে ফেলা যাবে না। বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, একান্ন বছর বয়সে স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়ে বঙ্গবন্ধু হয়েছিলেন তিনি। পঞ্চান্ন বছর বয়সে তাকে পরাজিত পাকিস্তানী দোসররা হত্যা করেছে। ১৪ বছর কাটিয়েছেন কারাগারে। আর বাকীটা বছর কাটিয়েছেন লড়াই আর স্ট্রাগেল এর মধ্যদিয়ে।
বুধবার (১৭ মার্চ) বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, পৌর শাখা, সদর উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলী সভাপতি ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চিংকিউ রোয়াজ, সহ সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জাতীয় সংসদের সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরসহ জেলা আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাটা জীবন লড়াই চালিয়েছেন আমাদের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। আর তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এবং তিনি সফল হয়েছেন। আমাদের দেশ এখন সবদিকে সয়ং সম্পূর্ণ। দেশের মানুষের মৌলিক ইচ্ছে সবই পুরণ করছেন। যার ঘর নাই তারা ঘর পাচ্ছেন। যাদের জায়গা নাই তাদের জায়গা দিয়ে ঘর তুলে দিচ্ছেন। যেখানে রাস্তা-ঘাট নাই সেখানে রাস্তা-ঘাট করে দেয়া হচ্ছে। যেখানে বিদ্যুৎ নেই সেখানে বিদ্যুতের আলোই আলোকিত করে গড়ে তুলেছেন। এদেশের কৃষকদের স্বল্পসুদে ঋণ দিয়ে তারা চাষাবাদ করে তারা এখন স্বাবলম্বি হয়ে উঠছেন তেমনী দেশও খাদ্যে সয়ং সম্পন্ন হয়ে উঠেছে।
পরে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা আয়োজিত ৪দিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এ দিকে আলোচনা সভা চলাকালে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার উদোগে শিল্পীরা স্বাধীনতা এবং বিজয়ের গান পরিবেশন করেন।