ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৭নং বাকতা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে সরকার অটো রাইস মিল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে দায়সারাভাবে ফেলে রাখা ছাইয়ে দগ্ধ হয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন (১১) শরীরের নিচের অর্ধেক অংশ পুড়ে গেছে।
গুরুতরভাবে দগ্ধ শিশু আরাফাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
মিল মালিক কর্তৃপক্ষ দায়সারাভাবে মিলে জমে থাকা আগুনের ছাই ট্রাক করে সড়কের পাশে ফেলে রাখে। খেলতে গিয়ে ফেলে রাখা ছাইয়ে দগ্ধ হয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ পর্যন্ত ৫-৬ জন শিশু দগ্ধ হয়েছে। শ্রীপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার জানান, তার ছেলে ফাহমিদুল ইসলাম (১০) সড়কের পাশে অটো রাইস মিলের ফেলে রাখা ছাইয়ে খেলতে গিয়ে পা পুড়ে যায়।
আগুনের ছাই ফেলতে নিষেধ করলে মিল কর্তৃপক্ষ তাদের কথা শোনে না। উল্টো হুমকি দেয়। মফিজ উদ্দিন জানান, এক মাস আগে ছাইয়ে পড়ে ছাগল দগ্ধ হয়। রাতের অন্ধকারে ছাই ফেলে যাওয়ায়।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সুরুজ বাঙ্গালী জানান, মিলটির বিরুদ্ধে পরিবেশ বিনষ্ট করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
মিল মালিক আবুল কালাম সরকার জানান, প্রতিবছর একবার মিল থেকে ছাই অন্যত্র সরানো হয়। মিলের ছাই সড়কে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন বলেন, মিলের ছাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে রাখা নতুন কিছু নয়। সড়কের পাশে ছাই ফেলতে নিষেধ করেছি। মিল মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় আমার কথায় কর্ণপাত করেন না