মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে অন্তসত্বা এক গৃহবধূ বৃষ্টি মন্ডল (২২) এর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের রতন মন্ডলের স্ত্রী ও একই উপজেলার দেবীপুরা গ্রামের মৃত সুনিল মন্ডলের একমাত্র মেয়ে। তাদের সংসারে ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে এবং সে ৫ মাসের অন্তসত্বা ছিলো বলে জানাগেছে।
বুধবার সকাল ৬ টার দিকে স্বামীর বাড়িতে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পুকুরে পরে যায়। স্বাামীসহ লোকজন উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফিরলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ঢাকায় হাসপাতালে রেফার করে। রাতে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ স্বামীর বাড়ি নিয়ে আসে। স্বামীর বাড়ির লোকজন জানায় সে মৃগি রোগী ছিলো। কিন্তু মৃতের মা ও স্বজনরা জানান সে মৃগি রোগী ছিলো না তাকে মেরে ফেরা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিরাজদিখান থানা পুলিশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মো. রাজিবুল ইসলাম ও থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ এসএম জালাল উদ্দিন।
বৃষ্টির ভাই সুরঞ্জন মন্ডল ও চাচা বলরাম মন্ডল জানান, ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়েতে ৪ ভরি স্বর্ণ ও ৪ লাখ টাকা এবং আসবাব পত্রসহ অনেককিছু দেওয়া হয়। গত ৭ মাস ধরে বিভিন্ন ভাবে ওর মার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। বৃষ্টিকে আরো টাকা নেওয়ার জন্য মারধর করতো।
রতন জানায় টাকার জন্য মারধর করা হয় নাই। তবে নিজেদের মধ্যে মাঝে মাঝে রাগারাগি হয়েছে। ও পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলো পানিতে পরে যায় পাশের বাড়ির হুজুরের স্ত্রী ঘাটে ওর সেন্ডেল- কাপর চোপর দেখে ওকে না দেখে খবর দেয়। আমরা দৌড়ে গিয়ে পানি থেকে ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেই।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মো. রাজিবুল ইসলাম জানান, আমরা ঘটনাস্থল এসে দেখেছি। উভয় পক্ষের কথা শুনেছি। লাশ ময়না তদন্তে মর্গে পাঠানোর ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। আপতত ওটি মামলা হবে, যদি ময়না তদন্তে খুনের কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়, তবে মামলা চালু হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।