গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের জৈষ্ঠিতলা গ্রামের নিরীহ চা দোকানীর উপর সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর,লুট ও প্রাণনাশের ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায় গত বৃহস্পতি বার বেলা আনুমানিক ৩:৩০ মিনিটের দিকে হোগলাকান্দী গ্রামের মৃত হবুল্লার ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী হৃদয়ের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র রামদা,হাতুড়ী,চাপাটি নিয়ে আকস্মিক জৈষ্ঠিতলা গ্রামের মৃত এসহাক মোল্লার ছেলে চা দোকানী বাবুল মোল্লা(৫৫) দোকানে হামলা চালায়। এতে প্রাণের ভয়ে বাবুল মোল্লা দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলে,সন্ত্রাসীরা দোকানে ভাংচুর চালায়, স্যাটার কোপায়,ক্যাশে থাকা ২৬ হাজার টাকা লুট করে। খবর পেয়ে দোকানীর স্ত্রী,কন্যারা ঘটনাস্থলে আসলে তাঁদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন। এ বিষয়ে চা দোকানীর মেয়ে বাঘাইকান্দী কলিমউল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আন্না আক্তার জানায়, সন্ত্রাসীরা আমাদের গালাগালি করে, এদের হাতে পিস্তল,রামদা, হাতুড়ী ছিল তাই আমরা ভয়ে সামনে যেতে পাড়ি নাই।
এ বিষয়ে চা দোকানীর পুত্রবধূ সূবর্না আক্তার মামলা দায়ের করতে থানায় আসার পথে হৃদয় তাঁর পথরোধ করে,পরে আবার ছেড়ে দেয়। থানা পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ডিউটিরত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান এবং আসামীদের গ্রেফতার করে। আসার পথে পুনরায় হৃদয়ের নেতৃত্বে পুলিশের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে। এ বিষয়ে ঘটনার সততা স্বীকার করেন গজারিয়া থানার এ.এস.আই আজিজুল হক।
অভিযুক্ত হৃদয়ের সাথে যোগাযোগ করতে একাধিক বার ফোন দিলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়,পরে তাঁর বাড়িতে গেলে, নিকট আত্মীয় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আমিরুল ইসলাম জানান,হৃদয়ের সাথে চা দোকানী বাবুল মোল্লার মালেয়শিয়া প্রবাসী ছেলে রমজানের সাথে আর্থিক লেনাদেনা রয়েছে।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দীন জানান,
হামিম আহমেদ(১৮),পিতা- চাঁনমিয়া ও নাঈদ (১৯), পিতা- আবদুল সালাম নামে দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারেও চেষ্টা চলছে।