গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে বালুর গর্তে চাপা পড়ে নিহত তিন ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার নিহত সহোদর দুই ভাই হয়রত আলী, আবির হোসেন ও রিফাত মিয়াকে কিশামত সদর গ্রামে দাফন করা হয়। শুক্রবার রাতেই উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ নিহত তিন ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ হতে ৬০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল, থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বুলবুল ইসলাম, ধুবনি কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান, বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ প্রমুখ। স্থানীয়দের দাবির মুখে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ভেকু দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কারণে সৃষ্ট গর্ত ভরাটের কাজ শনিবার থেকে শুরু করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বালুর গর্তে চাপা পড়ে গাইবান্ধার সদর উপজেলার বারোবলদিয়া গ্রামের মাসুদ মিয়ার দুই পুত্র আবির হোসেন (৫), হজরত আলী (৭) এবং বেলকা কিশামত সদরে শফিকুল ইসলামের পুত্র মামাতো ভাই রিফাত মিয়া (সাড়ে তিন বছর) নিহত হয়। পরিবারের লোকজন জানায়, নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে গাইবান্ধার সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের বারোবলদিয়া গ্রামের মাসুদ মিয়ার দুই পুত্র আবির হোসেন, হজরত আলী। সকালে মামাতো ভাই রিফাত মিয়াসহ ওরা তিন ভাই খেলতে যায়। বেলকা কিশামত সদর গ্রামে বালু দিয়ে রাস্তা নিমার্ণ করা হচ্ছে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ভেকু দিয়ে বালু তোলার কারণে রাস্তার পাশে গর্তে সৃষ্টি হয়। সেই গর্তে তারা খেলারত অবস্থায় পাড়ের একাংশ ধসে পরলে তারা সকলেই চাপ পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু ঘটে। দুপুরে তারা বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্র্যায়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পাশর্^বর্তী ওই গর্ত থেকে একে একে তিনটি মৃত দেহ উদ্ধার করে।