বেড়া সিএন্ডবি বাসষ্ট্যান্ডের পাশেই প্রতি হাঁটবারেই দাড়ালে একটু কান পাতলেই বাঁশির মিষ্টি সুর ভেসে আসতে শোনা যায়। কিছুক্ষণের জন্য হলেও মন চলে যায় সেই সুরের দিকে। এই বাঁশির সুর ভেসে আসে আমির হোসেন বুলবুলের বাঁশির সুর থেকে।
তিনি একজন বাঁশি বিক্রেতা। বয়স ৮০ পেরিয়েছে। এই বয়সেও বাঁশিতে তার সুরের জাদু। অনেকেই তার বাঁশির সুর শুনে কাছে কিছুক্ষণ দায়িয়ে থাকে। কৌতুহলবশত কেউ কিনেও নেয়। কিন্তু বাঁশিতে আজকের প্রজন্মেও আগ্রহ কমে গেছে বলে জানান আমির হোসেন। প্রথম জীবনেও বাঁশি শেখেন তার ওস্তাদ সালামতের কাছ থেকে। অথচ তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন পাঁচ দশকেরও বেশি সময় এই বাঁশির সাথে। বাসন্তী অপেরায় বাঁশি নিয়ে কাটিয়েছেন দীর্ঘ ২২ বছর। শিল্পকলায় ছিলেন বছর দুয়েক। তারপর সেসব পেরিয়ে এখন তিনি বাঁশি বিক্রি করেন। জয়পুরহাট থেকে কিনে আনেন এসব বাঁশি। হাতে নিয়েই বলে দিতে পারেন কোনটি কেমন বাজবে। এক ছেলে আর চার মেয়ে নিয়ে বাঁশি বিক্রি করে সংসার চালানোও তার পক্ষে এখন দুষ্কর হয়ে উঠেছে। তারপরও ভালোবাসার টানে বাঁশি ছাড়তে পারেননি আমির হোসেন।