নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেডিও গ্রাফার ডেপুটেশনে থাকায় এক্স-রে মেশিনটি রোগীদের কোনো কাজে আসছে না। এর ফলে এক্স-রে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীদের হাসপাতালের বাহিরে বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র (ডায়গনস্টিক সেন্টার) সরকারি ফি থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে রেডিও গ্রাফারের ডেপুটেশন বাতিলের জন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি প্রেরণ করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট থেকে রেডিও গ্রাফার মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জামান টাঙ্গাইল জেলা সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে রয়েছেন। এরপর থেকে পুরাতন মেশিনটিও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। আশ্রাফুজ্জামানের ডেপুটেশন বাতিল চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই দফা চিঠি প্রেরণ করেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হাসপাতালে ৫০০ এমএ মানের একটি এক্স-রে মেশিন সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছে। আর রেডিও গ্রাফার ডেপুটেশনে থাকায় মেশিনটি এখনো পর্যন্ত ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও বাইরে থেকে এক্স-রে করতে আসা রোগী ও স্বজনদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। গত ১৫ মার্চ নতুন করে আবারো মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জামানের ডেপুটেশন বাতিলের জন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরারব চিঠি পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে সেবা নিতে আসা উপজেলার বিশরপাশা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, হাসপাতালে এক্স-রে না হওয়ায় বেশি টাকা দিয়ে বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হয়েছে।
ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, এই অঞ্চলের বেশির ভাগ রোগীই সড়ক দুর্ঘটনায় জখম। হাসপাতাল থেকে বাইরে রোগী নিয়ে গিয়ে এক্স-রে করানো খুবই জটিল কাজ।
কয়েকজন রোগী প্রতিনিধিকে বলেন, হাসপাতালে এক্স-রে করাতে ৫৫ থেকে ৭৫ টাকা লাগলেও বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা লাগে। কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি নেওয়া হয়ে থাকে। তা ছাড়া হাসপাতালে উন্নত মানের ৫০০ এমএ এক্স-রে মেশিন থাকলেও বাইরে ২০০ বা ৩০০ এমএ মেশিনে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। অনেক সময় মান খারাপের অজুহাত দেখিয়ে বাইরে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা খরচে ডিজিটাল মেশিনে এক্স-রে করানো হচ্ছে।
এ বিষয়টি জানতে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আল মামুন বলেন, রেডিও গ্রাফার মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জামানের ডেপুটেশন বাতিল চেয়ে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।