জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলের কাউকে মানেন না বলে অভিযোগ করেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক।
তিনি বলেছেন, বর্তমান জাতীয় পার্টির অবস্থা বিধ্বস্ত। মহান আল্লাহ পাক জানেন কিভাবে এই জাতীয় পার্টি ঠিক হবে। এখন দলের দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি নিজেও নড়েচড়ে না। অঙ্গ সংগঠনের অবস্থাও ভঙ্গুর হয়ে গেছে। দলের কেউ জেলা উপজেলায় যায় না। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতার যে স্বপ্ন ছিলো তা ধ্বংসের পথে। এর আগেও আমি বলেছিলাম জাপা লাইফ সাপোর্টে। আজও বলছি দলের অবস্থা এখন বিধ্বস্ত।
সোমবার (২২ মার্চ) বিকেলে রংপুরে র পল্লীনিবাসে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সমাধিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ ও জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতির জন্মদিন ও মৃত্যুবার্ষিকী জাতীয় পার্টির নেতারা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন দাবি করেন বিদিশা এরশাদ। তিনি বলেন, এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে যেভাবে অনুষ্ঠান করা উচিত ছিল, তা করা হয়নি। যারা এসব দায়িত্বে ছিলেন তারা দায়সারাভাবে দিবসটি পালন করেছেন। অথচ আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি দিয়ে পালন করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে জাতীয় পার্টিকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষে কাজও শুরু করেছি। তৃণমূল থেকে মাঠে নেমে কাজ করছি। এখানে ছেলে এরিককে নিয়ে কবর জিয়ারত করতে আসছি। কোনো পলিটিক্যাল ইস্যু নিয়ে আসা হয়নি।
এসময় বিদিশা এরশাদ অভিযোগ করেনবর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের কাউকে মূল্যায়ন করেছেন না। কোন জোটকে প্রয়োজন বোধ মনে করেন না। নিজে যা ভাবেন তাই করেন। দলের কাউকেই মানেন না।
বিদিশা বলেন, রংপুুুরের মানুষ ও তৃণমূল চাইলে আমি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। আমার নেতৃত্ব যদি সাধারণ মানুষ মেনে নেয় তাহলে আমি প্রস্তুত। আমরা জাতীয় পার্টিকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চাই। এ সময় সামনের দিনে দলে কি ধরনের পরিবর্তন আসছে তা দেখার জন্য রংপুরবাসীকে অপেক্ষায় থাকতে বলেন বিদিশা এরশাদ।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, রংপুুুরে পল্লীবন্ধুর মাজার তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। এখানে মসজিদ, মাদরাসা তৈরি হবে। এখানকার হাসপাতালটি আরও বেশি উন্নত করা হবে। খুব দ্রুত সময়েই এসব তৈরির কাজ শুরু হবে।
সম্মিলিত আটান্ন দলীয় জাতীয় জোট ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এইচ এম এরশাদের ৯২তম জন্মদিনের কেক কাটেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এরশাদপুত্র শাহতা জারাব এরিক এরশাদ, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ, মহাসচিব আক্তার হোসেন, ট্রাস্টের পরিচালক ও উপদেষ্টা কাজী রুবায়েত হাসান, জাপা নেতা ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
এর আগে দুপুর একটার দিকে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে এসে নেমে সড়কপথে রংপুরে পল্লীনিবাসে আসেন বিদিশা এরশাদ। তার সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনো কেন্দ্রীয় নেতা এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।