করোনা মহামারীতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে ৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানই এখন ভারপ্রাপ্ত এমডির মাধ্যমে চলছে। অথচ যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে এমডির কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে তো নয়ই। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকদের অভিমত, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এমডি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর প্রচলন বাদ দেয়া উচিত। আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানের দেশের তিনটি ব্যাংক এমডি ছাড়াই চলছে। তার মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল, পূবালী ও ট্রাস্ট ব্যাংক। আর বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি), ফার্স্ট ফাইন্যান্স, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড নামের আার্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এমডি পদও এখন খালি রয়েছে।
সূত্র জানায়, চৌধুরী মোসতাক আহমেদ দীর্ঘ সময় পর ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। গত ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেই তার ৩ বছর মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারপর থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের এমডির পদটি ফাঁকাই রয়েছে। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বেসিক ব্যাংকের এমডির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন ব্যাংকটি এমডি ছাড়াই চলছে। পূবালী ব্যাংকে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন শফিউল আলম খান চৌধুরী। ৩ মাস পদ খালি থাকলেও গত ১৩ মার্চ প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নিয়েছেন হাসান ও. রশীদ। ৮ ডিসেম্বর রাহেল আহমেদের পদত্যাগের পর থেকেই পদটি ফাঁকাই ছিল।
এদিকে এ বিষয়ে একজন সাবেক ব্যাংকার জানান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডিদের সময় মতো নিয়োগ দেয়া উচিত। কারণ অন্যান্য দেশে এমডি অবসরে যাওয়ার দুই থেকে তিন মাস আগেই নতুন এমডি নিয়োগ দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে একজন থাকেন ডেজিগনেট এমডি, আর অন্যজন হচ্ছেন এমডি।