আশাশুনিতে বিশ্ব পানি দিবসে প্রোগ্রামে পানসে কারবারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লোক দেখানো অনুষ্ঠানের দৃশ্য দেখে সচেতন মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আশাশুনিতে সোমবার (২২ মার্চ) বিশ্ব পানি দিবস পালনের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জনগুরুত্বপূর্ণ দিবসটি সঠিক ভাবে পালনের মাধ্যমে চরম অবহেলিত ও সুপেয় পানির সংকটনাপন্ন আশাশুনি বাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে, ইপিআরসি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ‘ব্যাপক আয়োজন মনে হলেও কাজে ঠনঠন অবস্থা’ -এমন অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া কয়েক জন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পানি দিবসের উদ্দেশ্য কি, মানুষের কাছে দিবসের প্রভাব কি থাকবে, অংশগ্রহনকারীদের জন্য কি বলা প্রয়োজন এসবের যেমন তেমন কিছু ছিলনা, তেমনি ন্যুনতম সচেনত করার মত অংশগ্রহনকারীর সম্পৃক্ততা, জনগণের সামনে পৌছে র্যালী ও প্রচারনার ব্যবস্থা না করেই অনুষ্ঠান শেষ হয়। কোন আলোচনা সভাও ছিলনা। কেবল গেঞ্জি ও নাস্তা-পানি দিয়ে র্যালীর নামে কিছুটা পথ চলা হয়েছে। যেখানে পাবলিক হেলথ ব্যতীত কোন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, নারী নেতৃত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ভুক্তভোগি কাউকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। বেলা ১০.৩০ টায় অফিস চত্বর থেকে একটি ক্ষুদ্র র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্বর, বাজার বা প্রধান প্রধান সড়ক ও পথে না গিয়ে বলতে গেলে প্রায় জনমানব শূন্য (ঐ সময়ের জন্য) উপজেলা পরিষদ গেট থেকে বেরিয়ে ৭০/৮০ গজ পথ সামনে গিয়েই পিছন ফিরে অফিস চত্বরে গিয়ে অনুষ্ঠান সাঙ্গ করা হয়। এ ব্যাপারে উপ সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মোবাইলে (নং ০১৭৫৬৯২৯২৯১) কথা বললে তিনি জানান, পানি দিবসে আমাদের কোন প্রোগ্রাম নেই। করোনার কারণে প্রোগ্রাম বন্ধ আছে। ইপিআরসি তাদের প্রোগ্রাম করেছে, কেবলমাত্র ফটোসেশানের মত দাঁড়ানোর মধ্যদিয়ে প্রোগ্রাম করা হয়েছে।