আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়িতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। একাধিত বার পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলেও অবৈধ কাজ বন্ধ হয়নি। তাছাড়া ভূগর্ভের বালি উত্তোলন সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হলেও প্রকাশ্যে বালি উত্তোলনের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ক্ষতিগ্রস্তের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা এলাকাবাসীর পক্ষে রিয়াজ উদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ২২ মার্চ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ি রহিমিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ঢালিবাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলছে। রাস্তায় বালু ভরাটের জন্য সরকার বালু মহল থেকে বালু নিয়ে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু তার পরও অতিরিক্ত লাভের বশবতী হয়ে জনমানুষের ক্ষতির কথা চিন্তা না করে বসতবাড়ির পাশে আগরদাড়ি সরকারি খালে ভূগর্ভের বালি ড্রেজার মেশিনের সাহার্যে অবৈধপন্থায় উঠিয়ে রাস্তায় দেওয়া হচ্ছে। কেবল রাস্তায় নয় গোপনে অন্যের কাছে বালি বিক্রয় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বালু উত্তোলনের কর্মকাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী পাম্প, ড্রেজিং বা অন্য কোন উপায়ে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবেনা। ওই আইনের (৩) উপধারা (২) এ বলা হয়েছে ড্রেজিং কার্যক্রমে বাল্কহেড প্রচলিত ভলগেট, ড্রেজার ব্যবহার করা যাবেনা। এভাবে বালু উত্তোলন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। বিদ্যমান আইনকে অবজ্ঞা করে দীর্ঘ মাসাধিক কাল অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বালি উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিন পরিচালনাকারী সাংবাদিকদের কাছে জানান, তারা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে টাকা জমা দিয়ে বালি উত্তোলন করছে। তবে স্থানীয় সচেতন কয়েকজন জানান, তারা কবরস্থান, মসজিদের জমি ভরাটের কথা বলে প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়ে সেখানে কিছু বালি ব্যবহার করে দীর্ঘদিন রাস্তায় বালি দিচ্ছে এবং গোপনে বালি বিক্রয়ও করছেন। ভূগর্ভের বালি উত্তোলন করার প্রভাবে পাশের রিয়াজ উদ্দিন, আফছার বেগ ও আলমগীর হোসেন খোকনসহ অনেকের ইরিব্লকের সেচযন্ত্রে পানি উঠানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে দাবী করে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
অবশ্য কিছুদিন আগে সহকারি কমিশনার (ভুমি) শাহীন সুলতানা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছিলেন। তারপরও কিভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে উত্তর খুজতে এলাকার মানুষক হাফিয়ে উঠছে। আবেদনকারী রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ইউএনও নাজমুল হুসেইন খাঁন আবেদনপত্র নিয়েছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।