প্রথমবারের মতো নোয়াখালীর সেনবাগে উঁচু জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস কৃষক পর্যায়ে প্রদশর্নী প্লটের মাধ্যমে চাষ করা সূর্যমুখী বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। সেনবাগে ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের আবুল কাশেমের সূর্যমুখি ফুলের বাগান একনজর দেখার জন্য প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শণার্থীরা ভিড় করছে ওই সূর্যমুখি বাগানে।
বীরকোট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত টিএন্ডটি কর্মকর্তা মোঃ আবুল কাশেম জনান,তিনি ২০১৫ সালে চাকুরী থেকে অবঃ গ্রহন করে গ্রামের বাড়িতে এসে কৃষি কাজ ছাষাবাদ শুরু করেন। তিনি মুলত ধান ছাষাবাদই বেশী করতেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে ধান চাষ খুব একটা লাভজনক নয়। ধান চাষ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় সেই টাকার ধান পাওয়া যায় না এবং প্রাকৃতিক দূযোগ শুরু হলে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক (কামলার) সংকট দেখা দেয়। এ সময় প্রতিজন শ্রমিকের মুজুরি ১ হাজার টাকা থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। এতে খরছের সঙ্গে ধান উৎপাদন খরছের অনেক প্রার্থক্য হয়ে যায়। তাই তিনি এবার ধান চাষের পাশাপাশি সূর্যমুখী চাষ শুরু করেছেন। বর্তমানে সূর্যমূখি ফুল এসেছে। আশা করা হচ্ছে লাভবান হওয়া যাবে।
সেনবাগ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ জুনায়েত আলম জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার, বীজ ও প্রণোদনার মাধ্যমে সেনবাগের ৯টি ইউনিয়নে এবছর সাড়ে ৩ হেক্টর জমিতে সূর্য মুখী ফুলের চাষ হয়েছে।
সূর্যমুখি বীজ থেকে যে তেল উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমূখি তেলের অবস্থান। সয়াবিন ও সরিষার ভোজ্য তেলের ঘাটতি পুরণ করবে সূর্যমুখী তেল। সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ¦ালানি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা লিটার তৈল উপাদন সম্ভব। প্রতি লিটার তেলের বাজার সর্বনিম্ন বাজার মূল্য ২৫০ টাকা। প্রতি একর জমি চাষ করতে খরচ হয় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার টাকা।