ভৈরবে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণকারী হাসান আলীকে পুলিশ প্রহরায় স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায় সোমবার সন্ধ্যায় শহরের কাঠবাজার ঋষিপট্রির মিনা বেগম ( ছদ্ম নাম) বাড়ি থেকে বের হয়ে পিঠা আনতে যায়। এ সময় স,মিল মিস্ত্রী হাসান আলী কিশোরীটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে । এ ঘটনায় ধর্ষিতার ভাই সাকিব ধর্ষণকারীর উপর হামলা চালিয়ে তাকে ছুরিকাহত করে আহত করে। পরে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানা পুলিশ ধর্ষণকারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর রাতেই তাকে পুনরায় স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষিতাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষিতার ভাই সাকিবকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা রুবিনা বেগম জানান,তার প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে পিঠা আনতে গেলে হাসান আলী তাকে ধর্ষণ করে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসান আলী ও তার বোন রুপা বেগম জানান, ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি। মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে ত দেও সম্মানহানী করার জন্য। তাছাড়া পূর্ব শত্রুতার জন্য তারা ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোঃ শাহিন জানান, কিশোরীটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ধর্ষণকারীকে আহত এবং ধর্ষণের বিষয়ে আলাদা ২ টি মামলা হয়েছে।