দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবদুল কুদ্দুছ বলেছেন যক্ষা রোগ শুধু নিয়ন্ত্রণ নয়, আমরা এ রোগ নির্মূল করতে চাই। তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকেই সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে যক্ষা রোগ প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।
“মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার” এবারের এই প্রতিবাদ্য বিষয়কে সামনে রেখেই গতকাল ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে এবং ব্র্যাক ও নাটাব এর সহযোগিতায় ষ্ট্যান্ড র্যালি ও জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবদুল কুদ্দুছ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৯২ জন যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দেশে ১০৬৯ জন এমডিআর-টিবি সনাক্তকরন হয়েছে। শিশু যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৩শ ৫৯ জন। সব ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা সাফল্যের হার প্রায় ৯৫ শতাংশ। দিনাজপুরে ২০২০ সালে যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিত হয়েছে ৪ হাজার ৮শত ৯৬ জন। এমডিআর রোগী চিহ্নিত হয়েছে ৮ জন। আরোজ্ঞের হার ৯৭ ভাগ।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী মোঃ আরিফুল ইসলাম, নাটাব দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ চৌধুরী মোসাদ্দেকুল ইজদানী, সাধারণ সম্পাদক কাশী কুমার দাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ নাজমুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ আসিফ হাওলাদার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম।
সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার আবদুর রাজ্জাক।
উল্লেখ্য, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় র্যালীসহ বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে।