গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় গাছ পড়ে একটি পাঠশালা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ওই পাঠশালার শিক্ষকসহ ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে।
আহতদের পাশ^বর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ২জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের মধ্য রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রাজাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য অমৃত রায় জানান, বেসরকারি এনজিও আশা কর্তৃক এই পাঠশালাটি পরিচালিত হতো। এই পাঠশালায় এলাকার ৪/৫ বছর বয়সের ২৫জন শিশু শিক্ষার্থী লেখাপড়া করতো। শোভা বাগচী নামে এক শিক্ষক এসব শিক্ষার্থীকে লেখাপড়া করাতেন। এই পাঠশালার পাশে রঞ্জন রায় নামে এক ব্যক্তির বড় একটা তুলা গাছ ছিল। গাছটি রঞ্জন রায় পাশ^বর্তী পয়সারহাট গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী রশীদ শিকদারের কাছে বিক্রি করে দেয়।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল ১১টার সময় রশিদ সিকদার গাছটি কাটতে আসে। গাছটি কাটার একপর্যায়ে গাছটি হঠাৎ পাঠশালার উপর গিয়ে পড়ে সম্পূর্ণ পাঠশালাটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এ সময় পাঠশালার শিক্ষক শোভা বাগচীসহ ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত শিক্ষক শোভা বাগচী, শিক্ষার্থী নিরব জয়ধর, প্রনব জয়ধর, পাখি জয়ধর, সিনথিয়া জয়ধর, শুভ্রদিব জয়ধরকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এখানে শিক্ষক শোভা বাগচী ও শিক্ষার্থী নিরব জয়ধরের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বেসরকারি এনজিও আশার বান্ধাবাড়ি শাখার ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের এই পাঠশালাটি ২০১৯সালের জুলাই মাসে আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। বর্তমানে পাঠশালাটি পরিচালিত হচ্ছে কিনা তাহা আমার জানা নেই।
শিক্ষার্থী নিরব জয়ধরের পিতা লিটু জয়ধর কোন প্রকার সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে গাছ কাটায় রশীদ সিকদারের শাস্তি দাবি করেছেন।
ঘটনার পর রঞ্জন রায় ও রশীদ সিকদার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র ঢালী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। করোনার মধ্যে এ ধরণের পাঠশালা খোলা রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি জেনে যারা পাঠশালা পরিচালিত করছে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।