রাজশাহী মহানগরীতে একটি তুলার গুদামে আগুন লাগার পর প্রায় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে দমকল বাহিনীর কর্মীরা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীর গণকপাড়া তুলাপট্টিতে অবস্থিত ‘শামীম বেড হাউস’-এর তুলার গুদামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানটি লেপ, তোষক, গদি ও বালিশ তৈরির কাজ করে। আর ওই দোকানের পাশেই ছিল গুদাম ঘর। আর দমকল বাহিনীর দক্ষতাই বেঁচে গেছে আশপাশের অন্য তুলার গুদাম।
আগুন লাগার বিষয়ে গুদামের কর্মচারী লাইলী বেগম বলেন, গুদামের মধ্যে ভ্যানে করে আনা তুলাগুলো ঢোকানোর কিছুক্ষন পরই হঠাৎ করেই আগুন দেখতে পাই। সে সময় গুদামের ভেতর তার ছোট ছেলে সাঈদ হাসান লাবীব ছিল। তাড়াহুড়ো করে ছেলেকে বের করেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তাৎক্ষনিকভাবে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে।
লাইলী বেগম বলেন, কী কারণে আগুন লেগেছে সঠিক বলতে পারছিনা। তবে গুদামে তুলার বস্তা ঢোকানোর সময় দরজার সামনের রাস্তায় একটি বস্তা রাখা ছিল। সেই বস্তার পাশে একটি জলন্ত সিগারেট পড়ে থাকতে দেখেছিলাম। এখন ওই সিগারেটের কারণে না কী বৈদ্যুতিক শটসার্কিট হয়ে আগুন লেগেছে তা জানিনা।
ফায়ার সার্ভিস অফিস জানান, দুপুর প্রায় দেড়টার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। এরপর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুনের সূত্রপাত নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, আশপাশের অন্য তুলার গুদামে ছড়িয়ে পড়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। গুদামের মধ্যে থাকা তুলার নিচে আগুন থাকতে পারে এমন ভাবনা থেকে সব তুলা বের করা হচ্ছে। মালিক না থাকার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। আর আগুনের সূত্রপাত বের করার প্রক্রিয়া চলছে।