লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজের ২৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের স্তব্ধ কর্মসূচি পালন।
বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে১০মিনিটে নদীর দুই পাড়ের সকল দোকানপাট বন্ধ রেখে এই স্তব্ধ কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
সংগ্রাম পরিষদের নেতারা দাবী করেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন। এ সফরে তিনি যেন তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করে।
দীর্ঘদিন ধরে এ চুক্তি সম্পন্ন না হওয়ায় উত্তরের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ প্রতিবছর বন্যায় আর খরায় পরিবার পরিজন নিয়ে বির্পযস্ত হচ্ছে। স্তব্ধ কর্মসুচির নেতার বলেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষদের বাঁচাতে তিস্তা চুক্তি সই এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পানির প্রবাহ ঠিক রাখা, ভাঙন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। তিস্তার পাড় দখল ও দূষণমুক্ত করে নৌকা চলাচল চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হাক্কানী গত সোমবার রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ সালের পর ভারত পানি প্রত্যাহার করার পর থেকে তিস্তা মরুভুমিতে পরিনত হয়েছে। তিস্তাপাড়ের কৃষি, জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ বাড়ছে। এ অবস্থায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও তিস্তা চুক্তি হওয়া অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।