রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে ইব্রাহীম হোসেন দেওয়ান নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। বুধবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পদ্মার মধ্যে চৌমাদিয়া চরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা অবস্থা বিরাজ করছে। তবে এই ঘটনায় নিহতের ভাই সোলাইমান হোসেন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া চরের ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর আবদুর রহমান জানান, চৌমাদিয়া চরের হাবু দেওয়ানের ছেলে ইব্রাহীন হোসেন দেওয়ান ও শুকান আলীর ছেলে মোশারফ হোসেন চৌমাদিয়া বাজারে এক চায়ের স্টোলে বসে চা খাচ্ছিলেন এবং টিভি দেখছিলেন। এ সময় আবদুর রশিদ ও জিয়া বাহিনীর ২০-৩০ জনের একটি দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুলি করে। এ সময় তাদের গুলিতে আহত হয় ইব্রাহীম হোসেন দেওয়ান (৩৫)। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক সোলাইমান হোসেন। পরে মোশারফ হোসেনকে বিজিবি উদ্ধার করে দৌলতপুর থানায় সপর্দ করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক সোলাইমান হোসেন জানান, ইব্রাহীম হোসেনকে আমাদের কাছে আনলে তার কোন জ্ঞান ছিল। তাকে পরীক্ষা করে দেখা যায়, সে বেশ কিছু সময় আগে মারা গেছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল বারী জানান, ঘটনাটি জানার সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তবে সন্ত্রাসীর গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্মে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে এই ঘটনায় নিহতের ভাই সোলাইমান হোসেন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৮ ফেব্রুয়ারী মজনু হোসেন দর্জির কলা বাগানের সাথে দিলা ইসলাম ব্যাপারির জমি রয়েছে। সেই জমিতে আগাছা পরিস্কার করার জন্য দিলা ইসলাম ব্যাপারি আগুন দেয়। সেই আগুনে মজনু দর্জির কলা বাগানের ক্ষতি হয়। এই বিষয়টি দিলা ইসলাম ব্যাপারিকে জানাতে গেলে উল্টো মজনু দর্জিকে মারপিট করা হয়। এর জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্ধুক, লাঠি, হাসুয়া, লোহার রড় নিয়ে একে উপরের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। এই সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছিলেন। এর জের ধরে বুধবার ইব্রাহীমকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।