কুড়িগ্রামের রাজারহাটে জমি-জমা সংক্রান্ত কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষরা বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ২জন মহিলা গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের অর্জূনমিশ্র গ্রামের বিধবা ননীবালার(৬৬) সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত যাত্রা মোহনের পুত্র শ্যামল চন্দ্রের(৩০) জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোন্দল চলে আসছিল। ঘটনার দিন গত শনিবার দুপুরে অর্তকিতভাবে প্রতিপক্ষ শ্যামল চন্দ্রও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সর্জ্জিত হয়ে এসে বাড়িঘর ভাংচুর করে নগদ ৬০হাজার টাকাসহ মালমাল লুটপাট করে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে একটি টিনের ঘর সহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভস্মিভূত হয়। এলাকাবাসীরা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। এতে বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মৃত নিশিমোহনের স্ত্রী বিধবা ননীবালা(৬৬) ও তার পুত্র বধূ মৃত বীরেন্দ্রনাথের স্ত্রী বিধবা বিজলী রানী(৪৫)র উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ননীবালার ডানদিকের ঘাড়ের হাঁড় ভেঙ্গে দেয়। এতে সে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা গলা টিপে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এলাকাবাসীরা ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় আহতদের রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করলে তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। বর্তমানে তারা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ২য় তলার ৬নং ওয়ার্ডে ডাঃ উমর ফারুক মানিকের তত্বাবধানে রয়েছে। চিকিৎসক ননীবালার হাঁড় ভাঙ্গার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে রাজারহাট থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। ২৫মার্চ বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে রাজারহাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকার জানিয়েছেন।