বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বসুরহাট পৌরসভার বটতলায় গরীব, অসহায় ও দুস্থ নারীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ৬০টি সেলাই মেশিন বিতরণের আয়োজন করা হয়। দু‘জন দুস্থ নারীকে সেলাই মেশিন দেওয়ার পরই পুলিশি বাধায় বিতরণ অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়।
বিতরণের পূর্বে মেয়র কাদের মির্জা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭০হাজার গরীব ও অসহায়দেরকে ঘর করে দিয়েছেন। বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে শেখ হাসিনা নিজস্ব অথ্যায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্ত ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ ১১১টি ভাতা চালু করেছেন। আগামী ৩বছর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে একটা কাজও থাকবে না। এরপর দুস্থ নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ শুরু করলে পুলিশি বাধায় পন্ড হয়ে যায়।
এসময় কাদের মির্জা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমি শেখ হাসিনার পক্ষে গরীব ও অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করতে গেলে পুলিশ আমাকে বাধা প্রদান করে।
অপরদিকে আমি মহান স্বাধীনতার দিবস ২৬ মার্চ উপলক্ষে শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধাসহ ২হাজার মানুষের জন্য দুপুরে ডাল ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি, তাতেও পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আমি পুলিশি এ বাধার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, আমার প্রতি এত অন্যায় করছে আইনশঙ্খলা বাহিনী ও গোটা প্রশাসন, একরাম, নিজাম হাজারী, স্বপন মিয়াজি, বাদল, রাহাতের নেতৃত্বে আমাকে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের ষড়যন্ত্র করছে। এ দেশে কি কোন বিচার নেই, এ বিচার আমি মাননীয় শ্রদ্ধাভাজন প্রধানমন্ত্রীর নিকট রাখলাম।
এর আগে বসুরহাট পৌরসভার বাজারের বিভিন্ন অলি-গলিতে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেন।
এব্যাপারে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর আরিফুর রহমান জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে সেলাই মেশিন বিতরণ অন্ষ্ঠুান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।