রাজশাহীও কাটখালীতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ পরিবারের চার শিশুসহ ১৭জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সকলের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তারা সকলেই উপজেলার প্রজাপাড়া, দুরামিঠিপুর, দ্বাড়িকাপাড়া, রাজারামপুর ও বড় মজিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের খবর জানাজানি হলে নিহতের পরিবারে শোকের মাতম দেখা দেয়। এই শোক পরিবার, গ্রাম ছাড়িয়ে এখন পুরে রংপুর জুড়ে বইছে। নিহতদের স্বজন, প্রতিবেশীদের আহজারি আর কান্নায় এক হৃদয় বিদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের স্বজন, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে উপজেলার প্রজাপাড়া, দুরামিঠিপুর, দ্বাড়িকাপাড়া, রাজারামপুর ও বড় মজিদপুর গ্রামের ওই ৫ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পারিক সুসম্পর্ক থাকায় তারা পিকনিকের আয়োজন করে। পরে তারা একটি হায়েস মাইক্রোবাস যোগে রাজশাহীর পদ্মাচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাজশাহী নগরীর কাটাখালী নামক স্থানে পৌছিলে হানিফ পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহি বাস ও লেগুনার সাথে ত্রি-মুখী সংঘর্ষ বাধে। এতে মাইক্রোবাসটির গ্যাসসিলিন্ডার বিষ্ফোরন ঘটে। ফলে মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরে যায়।
এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা পীরগঞ্জের দ্বাড়িকাপাড়া গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে মোকলেছার রহমান (৪০) তার স্ত্রী পারভিন বেগম (৩৫) ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে পাভেল রহমান (১৭), রাজারামপুর গ্রামের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী সালাউদ্দীন (৪২) তার স্ত্রী সামছুন্নাহার (৩২) তাদের দুই সস্তান সাজিদ (৯) ও আফিয়া খাতুন সাফা (৩) এবং শ্যালিকা কামরুন্নাহার বেগম (৩৮), রড় মহজিদপুর গ্রামের মৃত জোনাব আলীর ছেলে ফুল মিয়া (৩৫) স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) তাদের ৩ সস্তান ফয়সাল (১৩),সুমাইয়া (৬) ও সাবিহা (৩), পীরগঞ্জ পৌরসভার প্রজাপাড়া গ্রামের মৃত ছামসুল ইসলামের ছেলে তাজুল করিম ভুট্টু (৫০) তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (৪২) তাদের একমাত্র ছেলে ইয়ামিম (১৩) এবং দুরামিঠিপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।
এদিকে মাইক্রোবাস চালক পীরগঞ্জ পৌরসভার থানাপাড়ার বাসিন্দা পচা মিয়া এই দূর্ঘটনায় বেঁচে আছেন না মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ খবর সংগ্রহকালে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার ওই ৫ গ্রামে নিহতদের স্বজনরা ছাড়াও গ্রামবাসীদের মাঝে আর্তনাতের পাশাপাশি শোকের মাতম চলছে।