স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমরা রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে আলোকিত করতে পারিনি। অন্ধকারেই রয়ে গেছে ছাত্র-যুব-জনতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ছবি ব্যবহার করে, তাঁর মত অবিরত এগিয়ে চলা লোভ মোহহীন নিরন্তর আলোর মানুষকে জাতীয় সম্পদের স্থলে দলীয় সম্পদে রুপান্তরিত করে দুর্নীতির রামরাজত্ব তৈরির চেষ্টা করছে ছাত্র-যুব-শ্রমিক- স্বেচ্ছাসেবক ও মূল দলের নেতাকর্মীদের একাংশ। ষড়যন্ত্র চলছে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও। এই ষড়যন্ত্রের হাত ধরে একের পর এক জাতীয় নেতা হত্যার রাজনীতিও চলছে যুগের পর যুগ। আমরা ষড়যন্ত্রের হাত থেকে মুক্তি পাইনি। হারিয়েছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মেজর জিয়াউর রহমান, জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এইচ এম কামরুজ্জামান, শাহ এসএম কিবরিয়ার মত ত্যাগী নেতাদেরকে।
ইতিহাস বলে যে, জাতির পিতার হাত ধরে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ঐক্যবদ্ধ করা হয় অসংখ্য সাধারণ মানুষকে। প্রথমে রাজনৈতিক গণ-আন্দোলন, তারপর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে জন্ম নেয়া এই দেশটি তার বেড়ে ওঠার সময় ক্রমাগতভাবে রাজনৈতিক বিভক্তির মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে, যা এখন আর শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই-প্রশাসন, ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিক সহ পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠন, এমনকি বিচার বিভাগেও এ বিভক্তি ষ্পষ্ট। তাই প্রায় সবকিছুর বিশ্লেষণই যার যার রাজনৈতিক আদর্শ বা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে করা হয়, যা থেকে স্বাধীনতার ইতিহাসও রেহাই পায়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সবচেয়ে গৌরবময় এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ মুক্তিযুদ্ধের কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক এই রাজনৈতিক বিভক্তি উসকে দিয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের পর এর বড় সুবিধাভোগী জেনারেল জিয়াউর রহমানের গড়া দল বিএনপির কিছু দাবি এ বিতর্কের সূচনা করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু তাঁর ধানমন্ডির বাড়ি থেকে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হবার আগ মুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন-আওয়ামী লীগের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের নানা তথ্য-উপাত্ত এই দাবিটিই সমর্থন করে। তবে জন্মের পরপরই রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের একক আধিপত্য চ্যালেঞ্জ করে আসা বিএনপির দাবি বঙ্গবন্ধু নয়, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন মেজর জিয়া, ২৭শে মার্চ চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ-ত্যাগ, অর্থাৎ বিদ্রোহের পর কালুরঘাট রেডিও স্টেশনে গিয়ে।
এই দিনটি যে ২৭ শে মার্চ ছিল তা বরাবরই বলে এসেছেন ঐ সময় মেজর জিয়ার সঙ্গে থাকা কয়েক সহকর্মী, যারা পরে তাঁর দলে যোগ দিয়েছিলেন, যেমন জেনারেল মীর শওকত, কর্নেল অলি প্রমুখ। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস যেহেতু ২৬শে মার্চ পালিত হয়ে আসছে, তাই তার সঙ্গে সাযুজ্য রাখতে ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদের বিএনপির আমলে দিনটি এগিয়ে এনে সেটি ২৬শে মার্চ ছিল বলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছিল, স্কুলের পাঠ্যবইতে ছাপানোও হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তা টেকেনি।
মেজর জিয়া ওইদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ঠিকই, তবে তা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। তাঁর স্বকণ্ঠের সেই ঘোষণার অডিও রেকর্ড এখনো রয়েছে। আওয়ামী লীগ তাই বলে- জিয়া ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক মাত্র। তবে এটি ঠিক যে, সাধারণ মানুষের কাছে জিয়ার এই ঘোষণা অন্যরকম আবেদন তৈরি করেছিল। কারণ, তিনি ছিলেন সেনা কর্মকর্তা আর সেনাবাহিনীর বাঙালি কর্মকর্তা-সৈনিকরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রয়েছে, এটি জানতে পেরে মানুষ আশ্বস্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি যতটা জনপ্রিয় হতে পেরেছিলেন, তাতে সাহায্য করেছিল তাঁর এ রকম একটি ‘দেশপ্রেমিক ইমেজ।’ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত দেশের প্রথম সরকার মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য যেসব মুক্তিযোদ্ধাকে নানা খেতাবে ভূষিত করেছিল, তার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব বীর উত্তম পেয়েছিলেন জিয়া। কিন্তু তাঁর গড়া দল বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক এখন এতটাই তিক্ত যে, দলটির নেতাদের কেউ কেউ এখন জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর চর ছিলেন বলে অভিযুক্ত করছেন। বড় দল দু'টো এভাবেই স্বাধীনতা সংগ্রাম, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
স্বাধীনতার ঘোষণার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন বলে তাঁকে ঘোষক দাবি করার কিছুটা ভিত্তি থাকলেও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের সংখ্যা নিয়ে একাধিকবারের প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, তার সমর্থনে কোনো যুক্তিই নেই। বছরখানেক আগে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি বলে বসেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ নয়, ৩ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। ৩০ লাখ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি - এই বাক্যটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথমদিন থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। হতে পারে সংখ্যাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। ঐ সময় সঠিক হিসেব করা সম্ভবও ছিল না। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর থেকে সত্যের কাছাকাছি আনুমানিক এই সংখ্যাটি স্থির হয়েছে এবং এটি অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত। মীমাংসিত এই বিষয়টি নিয়ে বেগম জিয়া কেন বিতর্ক সৃষ্টি করলেন, তা তাঁর দলের অনেক নেতার কাছেও বোধগম্য নয়। অন্ধকারের রাজনীতিকে তাই নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা ‘না’ বলা শুরু করেছে ২ যুগ হয়ে গেছে। ইতিহাসকে স্মরণিয় করে রাখতে অবশ্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ ও স্বাধীনতা জাদুঘর নির্মিত হয়েছে। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ এখানে দাঁড়িয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছিলেন স্বাধীনতা অর্জনের দৃঢ় প্রত্যয়৷৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দলিলও স্বাক্ষরিত হয়েছিল এখানেই। স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশে আছে বাঙালি জাতিসত্তার অমরতার প্রতীক ‘শিখা চিরন্তনী’। স্বাধীনতা স্তম্ভটি বস্তুত ১৫০ ফুট উঁচু একটি গ্লাস টাওয়ার। মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের সংখ্যা ৩০ লাখের পরিবর্তে ৩ লাখ হলে বিএনপির কী সুবিধা হবে তা ভেবেও কুল কিনারা পাচ্ছেন না কেউ-ই। বরং এই বিতর্ক তোলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার সংখ্যা একটি বেড়েছে। কোনো যুদ্ধে শহিদদের সংখ্যা নিয়ে মীমাংসিত বিষয়ে অহেতুক বিতর্ক তোলা এবং এ নিয়ে মামলার ঘটনা পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি।
নির্মমতায় আমাদের ৯ মাসে স্বাধীনতাযুদ্ধে ৩০ লক্ষ প্রাণ বিসর্জিত হয়েছে। যা বিশ্ব ইতিহাসে সবসময়
স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে এর কৃতিত্ব দলটি সঙ্গত কারণেই দাবি করতে পারে। স্বাধীনতার সাত বছর পর ১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠন করার সময় মুক্তিযোদ্ধা হয়েও জিয়া তাঁর দলে স্বাধীনতাবিরোধীদের অনেককে নিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে সংবিধান সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীকে পুনর্বাসন করেছেন- এ রকম অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের হাল ধরার পর জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক মিত্র হিসেবে বেছে নেন, ঘরে-বাইরে অনেক সমালোচনার পরও যা এখনো বহাল রয়েছে। এসব মিলিয়ে বিএনপিকে ‘পাকিস্তানপন্থি' হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টাও করা হয়ে থাকে। এ অপবাদ কাটাতে বিএনপির নেতারা তাঁদের দলকে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারের দল হিসেবে উল্লেখ করেন, কখনো কখনো ছেলে মানুষের মতো দাবি করেন তাঁদের দলে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা আছে। এই হলো পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। আওয়ামী লীগ যদি বলে দিন তো বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গীরা বলছে রাত। এই দিন-রাতের রাজনীতি থেকে সরে আসতে তারুণ্যের রাজনৈতিকধারা নির্মাণের জন্য নতুন প্রজন্ম ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। তারা রাজনীতিকে কাজে লাগিয়ে অগ্রসর হতে হবে বিনয় আর ভালোবাসার সাথে।
দেশ-মানুষ-মাটির জন্য নিবেদিত থাকা-আলোর পথে ডাকা আজ আমাদের প্রথম দায়িত্ব। মুক্তিযোদ্ধা, যাঁদেরকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বলা হয়, তাঁদের স্বীকৃতি দেয়া নিয়েও বিতর্ক রয়েছে এবং বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে এ রকম পালটাপালটির কারণে। বড় এই দল দু'টি যে যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা বদল অথবা সংশোধন হয়েছে। গত ৪৭ বছরে ছ'বার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার বয়স, সংজ্ঞা ও মানদন্ড পাল্টেছে ১১ বার। আগামী ২৬শে মার্চ আরেকটি মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রকাশ করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আরেক মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এ পর্যন্ত নতুন করে সরকারি গেজেটভুক্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৪৮৯ জন। একই সময়ে ভাতা পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ থেকে বেড়ে ১ লাখ ৮৬ হাজার হয়েছে। জনপ্রতি ভাতার পরিমাণ, ২০০৯ সালে ছিল ৯০০ টাকা আর এখন ১০ হাজার। এই ভাতা এবং আরো কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবার কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় বারবার পরিবর্তন এসেছে। বন্ধ করতে হবে দুর্নীতি প্রতিটি সেক্টরে। দুর্নীতি না থামালে এখন যে বলা হচ্ছে- মুক্তিযোদ্ধাদের পাকা বাড়ি তৈরি করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে, প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া। এ ছাড়া দেশের রাস্তাঘাটগুলোর নামকরণ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বিনা খরচে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেয়ার।’ সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। ভেস্তে যাবে বাংলাদেশের আলোর পথচলা।
আলোর জীবন, ভালোর জীবন গড়তে তারুণ্যের রাজনীতিতে যেমন ঐক্যবদ্ধতা প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন নতুন দিনের জন্য নিবেদিত থাকা। যে দিনে নিরন্তর এগিয়ে চলতে হবে বিনয় আর ভালোবাসায়। স্বাধীনতার সুফল যেখানে আসবে বিন¤্রতায় আলোর পথধারায়। চালের দাম থাকবে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে। থাকবে দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা। থাকবে ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এই চিরন্তন আলোর কথার বাস্তবায়ন। নিরন্তর চলুন সেই স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাই আর উচ্চারণ করি আলোর পথচলা।
আলোকিত বাংলাদেশের স্বপ্ন আজ জাতির চোখে থাকলেও সাথে রয়েছে যন্ত্রণা। এই যন্ত্রণাকে বুকে নিয়ে কোটি জনতা হতাশার অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। যা আমাদের কারোই কাম্য নয়। বিশ্বময় যখন মহামারি করোনা নির্মম আঘাত হেনেছে, তখন করোনা পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে যে, মার্চ মাস মনের গভীরে জমে থাকা হাসি-কান্নার মাস।দু:খ-কষ্ট এবং ত্যাগের মাস। প্রিয়জনকে হারানোর যে ব্যাথা তা অনুভব করার মাস। ভালোলাগা ও ভালোবাসার মাস-স্বাধীনতার মাস। তবে ১৯৭০-৭১ সালের যুদ্ধ চলাকালীন সময় ছিল নয় মাস। সেই নয়টি মাসে যে ক্ষতি, ত্যাগ, নির্যাতন, হতাশা, হত্যা, দু:খ, কষ্ট, কান্না, আর্তনাদ, হারানো সুর, আশা, প্রত্যাশা এবং ভালোবাসা আমরা বিসর্জন দিয়েছি তা ভোলার নয়। ভোলার নয় আমাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার গত ৫০ বছরের কথাও। অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার আগেই চাই ঘুরে দাঁড়ানো নিরন্তর এগিয়ে চলা...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি