বগুড়ার শেরপুরের মহিপুর কলোনি বাজার এলাকায় মহিপুর বাজার মসজিদরে নাম ভাঙ্গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় চিহ্নিত ভূমি দস্যু জামাত শিবিরের বিভিন্ন মামলার আসামি সহ প্রায় দেড়শ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহিপুর বাজার মসজিদ সংলগ্ন আলহাজ্ব সিরাজ উদ্দিন ও সাহেরা খাতুনের বাড়ি ভাংচুর ও জায়গা দখলের চেষ্টায় শনিবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভুক্তভুগির ছেলে সেলিম হোসেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সেলিম হোসেন বলেন, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রহমান নগরের বাসিন্দা জামাত নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার, মহিপুর বুড়িতলা এলাকার মৃত বাজো সাকিদারের ছেলে মো: আবদুল কাদের সাকিদার, মহিপুর বাজার এলাকার মৃত সিফার উদ্দিনের ছেলে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বাবলু মিয়া, একই এলাকার মৃত জলিল খানের ছেলে টিক্কা খান ও চপল খান, মৃত ইমান সরকারের ছেলে বাবলু সরকারসহ অজ্ঞাতনামা আনুমানিক ১শ থেকে ১৫০ জন সন্ত্রাসী দেশিও অস্ত্র নিয়ে এসে শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত ৯টায় মহিপুর বাজার মসজিদ সংলগ্ন আমাদের বাড়িতে হামলা চালালে স্ব-পরিবারে ঘরের দরজা লাগিয়ে ভিতরে অবস্থান করি। সন্ত্রাসীরা বাড়ীর প্রাচীর ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং আমাদের জীবন নাশের হুমকি দেয়। সেল এ- এগ্রিমেন্টের সম্পত্তিতে আমরা ১৯৫২ সাল থেকে শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগদখল করে বসবাস করতেছি। বাজার এলাকায় সমজিদ না থাকায় ১৯৯৪ সালে মহিপুর মৌজার জেএল নং ১২৩, দাগ নং ২২০,২২১,২২২,২২৩,২৫০ এর সাড়ে ১৬ শতকের কাতে আমরা মসজিদরে নামে ৩ শতক জায়গা দানপত্র দলিল করে দিয়েছি। দিন দিন মসজিদে মুসল্লি বেড়ে যাওয়ায় জায়গা সংকট হওয়ার কারণে ২৪ অক্টোবর ২০০৪ সালে মহিপুর মৌজার জেএল নং ১২৩, দাগ নং ২১৯ এর ২৬ শতক থেকে মসজিদ কমিটির অনুরোধে নাম মাত্র মূল্যে ২ শতক জায়গা বিক্রয় করি। দীর্ঘ ৭০ বছর পর মহিপুর বুড়িতলা এলাকার মৃত বাজো সাকিদারের ছেলে মো: আবদুল কাদের সাকিদার ২২০ দাগের ১৭ শতক জমি দাবি করে। সেই ১৭ শতক থেকে ৫শতক জায়গা মসজিদকে দান করে দিয়ে বাকী ১২শতক জায়গা জামাত নেতা আবদুস সাত্তার, বিএনপির আহ্বায়ক বাবলু মিয়াসহ কতিপয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের যোগসাজসে ওই সম্পত্তি বেদখল দেওয়ার পরিকল্পনা করে। আমরা বিশ্বস্ত সুত্রে জানতে পারলে পরবর্তিতে কোর্টে ইনজ্যাংশনের জন্য মামলা করি। পরে আমাদের দলিল পত্র সঠিক থাকায় অস্থায়ী নিষেধাক্কা দেন আদালত। ওই সম্পত্তিতে ফৌ:কা:বি: ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি হয়। এবং আগামী ১৫ এপ্রিল ২০২১ সালে ওই দাবিকৃত ব্যক্তিদের তলব করে। তারা আইনকে তোয়াক্কা না করে গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত্রি ৯টায় উপর্যুক্ত নামধারীরাসহ আনুমানিক ১শ থেকে ১৫০জন সন্ত্রাসী ভাড়া করে সন্ত্রাসী তান্ডব চালায়। ইতঃপূর্বে একই কায়দায় মহিপুর কলোনি জামের মসজিদে প্রায় ৭৯শতক জায়গা ও দোকানপাট ভাংচুর করে দখল নেয় তারা। বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় দখল করার চেষ্টা করে। তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায়না। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়েছে। একই কায়দায় আমাদের উপরও হামলা চালিয়েছে। আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছি। আমরা আপনাদের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের শাস্তি ও আইনি সহায়তার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।