রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পৃথক ৫ টি গ্রামে গত শনিবার গভীর রাতে ১৭ জনের লাশ দাফন করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০ টায় লাশবাহী পিকআপ পীরগঞ্জে এসে পৌছে। ১১ টা ২০ মিনিটে পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫ সহস্্রাধীন মানুষ অংশ নেন। এরপর শুরু হয় স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রাণী রায়,ওসি সরেস চন্দ্র ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম আনুষ্ঠানিকভাবে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন। গভীর রাতেই পৃথক ৫ টি গ্রামে দ্বিতীয়বার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশগুলো দাফন করা হয়। উল্লেখ্য,গত শুক্রবার বাদ জুম্মা রাজশাহীর কাটাখালী নামক স্থানে পীরগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে পিকনিকের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া হাইস-মাইক্রোবাসটিকে হানিফ পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে আগুন ধরে যায়। ভেতরে আটকেপড়া ১৮ যাত্রীর ১৭ জনই আগুনে ঝলসে মারা যায়। এরা হচ্ছে-উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের মহজিদপুর গ্রামের ফুল মিয়ার পরিবারের ৫ সদস্য ফুল মিয়া (৪০), তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫), ছেলে ফয়সাল মিয়া (১৫), মেয়ে সুমাইয়া (৭) ও ছোট মেয়ে সাজিদা (৩); একই ইউনিয়নের দুরামিঠিপুর গ্রামের সাইদুর রহমান (৪৫), চৈত্রকোল ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের সালাউদ্দিনের পরিবারের ৫ সদস্য ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন (৩৯), স্ত্রী শামছুন্নাহার (৩২), শ্যালিকা কামরুন্নাহার বেগম (২৫), ছেলে সাজিদ (১০) ও মেয়ে সাবাহ খাতুন (৩), পীরগঞ্জ পৌরসভার প্রজাপাড়ার মোটর সাইকেল মেকার তাজুল ইসলাম ভুট্টুর পরিবারের ৩ সদস্য ভুট্টু (৪০), স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫), ছেলে ৮ম শ্রেনীর ছাত্র ইয়ামিন (১৪), রায়পুর ইউনিয়নের দ্বাড়িকাপাড়া গ্রামের মোকলেছার রহমানের পরিবারের ৩ সদস্য মোকলেছার রহমান (৪০), স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৫),এবং মাইক্রোবাস চালক পৌরসভার পঁচাকান্দর গ্রামের হানিফ মিয়া ওরফে পঁচা (৩০)। গতকাল রোববার উপজেলা ত্রান ও পুনর্বাসন বিভাগ নিহত প্রত্যেকের জন্য ৫ হাজার করে টাকা দিয়েছে।