মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। রোববার (২৮ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার বড় শিকারপুর ও শুলপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছে সিরাজদিখান থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ এসএম জালাল উদ্দিন, এসআই সেকেন্দার আলীসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া মধুপুর পীর আল্লামা আবদুল হামিদ ও হাফেজ মাওলানা বশির আহম্মেদসহ হেফাজতের ১২ জন ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৮জনসহ মোট ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সকালে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কুচিয়ামোড়া ও নিমতলা এলাকায় অবস্থান করে অবরোধের চেষ্টা করছিল হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এ সময় ফাকা-মাওয়া মহসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয় প্রায় এক ঘন্টা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হেফাজত নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়। এরপর নিকটস্থ বড় বড়শিকারপুর ও শুলপুর এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ইটপাটকেল ছুড়ে ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে আহত করে প্রথমে ওসি এসএম জালাল উদ্দিনকে এ সময় এসআই সেকান্দরসহ আরো পুলিশ সদস্য আহত হয়। ওসিকে উন্নত চিকি]সার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং ফাকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষচলাকালীন সময়ে বেশকয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর, ২ টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে নেতাকর্মীরা। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা খবর পেয়ে প্রতিহত করতে গেলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।
এরপর দুপুর ২ টার দিকে মধুপুর, নয়ানগর ও তেঘরিয়া এলাকায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের বাড়িতে হেফাজতের লোকজন অগ্নিসংযোগ করার খবর পাওয়াগেছে।
জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন জানান, সিরাজদিখান থানার ওসির মাথা ফেটে গেছে। আরো কয়েকজন আহত হয়েছে পুলিশ সদস্য। বিস্তারিত জেনে বলা যাবে বলে জানান তিনি।