বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশে হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপি‘র তান্ডব ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে আশুগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদে সম্মেলনে এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব পাঠ ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাছের আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবে বলা হয়, গত রোববার হেফাজতের হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, জেলা পরিষদ, সুর স¤্রাট উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীত একাডেমী, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্তর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের কার্যালয়, শিল্পকলা একাডেমি, সদর ভুমি ভুমি অফিস, জেলা পুলিশ লাইন, হাটিখাতা হাইওয়ে থানা, জেলা আওয়ামী লাগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন ও তার শ্বশুরবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি, আশুগঞ্জে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা, পুলিশ বক্স ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাছেরের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। তাছাড়া মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনার পোষ্টার সংবলিত কয়েকটি গেইট ও কাছারি পুকুরের পাড়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করে হোফজত, জামাত, বিএনপি ও দলে অনুপ্রবেশকারি কিছু সুবিধাবাদীরা।
সংবাদে সম্লেলনে দাবী করা হয় স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পরাজিত শক্তি এদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি তারা। সাধারণ জনগণকে স্বাধনিতা বিরোধী ও উগ্রমৌলবাদীদেও বিরোদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানানো হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সালাহ উদ্দিন, তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সামা, দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম সাজু, শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাফিউদ্দিন, লালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোর্শেদ মাষ্টার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপিত শাহীন সিকদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদ অপি, মতিউর রহমান সরকার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবু মুছা, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রিফাত সিকদারসহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিউনের আওয়ামী লীগে ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবুন্দ।