আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে পৃথক ইউনিয়ন ভূমি অফিস না থাকায় ইউনিয়নবাসী জমির কাগজপত্র সংক্রান্ত কাজ সম্পাদনে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবে দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ভূমি অফিস স্থাপন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থাকলেও কেবলমাত্র কুল্যা ইউনিয়নে ভূমি অফিস স্থাপন করা হয়নি। তবে ১০টির মধ্যে কাদাকাটি ইউনিয়নে একটি সাব-ভূমি অফিস স্থাপন করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী বুধহাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসকেই অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে বুধহাটা ইউনিয়নের পাশাপাশি কুল্যা ইউনিয়নের ভূমি মালিকদের ভূমি সেবা দিতে হয়। আর এ কারণে প্রতিদিন সকাল থেকে ভূমি অফিসে লেগেই থাকে দুই ইউনিয়নের মানুষের ভিড়। একারণে দুই ইউনিয়নের ভূমি সেবা দিতে হিমসিম খেতে হয় বুধহাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কমরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। এদিকে ভূমি সেবা অনলাইন হওয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সার্ভেয়ারের সমস্যা থাকার কারণে দিনের পর দিন ধর্ণা দিতে হয় ভূমি মালিকদের। স্থানীয়দের দাবী কুল্যা ইউনিয়নের ৩০টি মৌজা নিয়ে একটি ভূমি অফিস স্থাপন করা হলে অফিসিয়াল জটিলতা কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। এ ছাড়া নিজের ইউনিয়নে ভূমি অফিস থাকলে যাতায়াত খরচ ও সময় দুটোই লাঘব হবে ভূমি মালিকদের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বুধহাটা ও কুল্যা ইউনিয়নের এরিয়া অনেক বড় হওয়ায় এবং অফিসে লোকবল কম থাকায় সরকারের হুকুম দাখিল, ভূমি দস্যু উচ্ছেদ, সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় দুই ইউনিয়নে সরেজমিন তদন্ত করা বা সঠিক সময়ে যথা স্থানে পৌছানো কষ্ঠসাধ্য হয়ে ওঠে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে খাস জমি দখলসহ বিভিন্ন ফায়দা লুটছে এক শ্রেণির ভূমি দস্যুরা।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা জানান, আমার জানামতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া থেকে কুল্যা ও বুধহাটা ইউনিয়নের ভুমি সেবা বুধহাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসেই দেওয়া হয়। তিনি দুই ইউনিয়নের বৃহৎ এরিয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ভূমি মালিকদের ভোগান্তি কমাতে ভূমি মন্ত্রণালয় যদি কখনও প্রস্তাবনা চায় তবে আমাদের পক্ষ থেকে কুল্যা ও কাদাকাটি ইউনিয়নের প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।