রংপুরের পীরগাছায় ভূয়া মৎস্য খামার দেখিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে অবৈধভাবে সেচ কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পীরগাছা জোনাল অফিসে বার বার অভিযোগ করেও কোন সুরাহা মিলছে না। পরপর দুই বার অভিযোগের পরদিন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও অর্থের বিনিময়ে তা পরদিন আবার লাগানো হচ্ছে। এসব অনিয়মের সাথে পীরগাছা জোনাল অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন ভূক্তভোগীরা।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের কৈকুড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত ছুটকু শেখের ছেলে আবুল হোসেন বিগত দুই বছর পূর্বে একটি সেচ পাম্পের অনুমোদন গ্রহন পূর্বক বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। তার সেচ এরিয়ায় বেশ কয়েকজন কৃষকের ৪২ বিঘা জমিতে সেচ দিয়ে আসছে। এরইমধ্যে সম্প্রতি ওই এলাকার এছাহাক মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন ওই সেচ পাম্পের ৫০ ফিটের মধ্যে ভূয়া মৎস্য খামার দেখিয়ে একটি বিদ্যুৎ সংযোগ নেন এবং অবৈধভাবে পাম্প বসিয়ে অন্যের জমিতে সেচ দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু সংযোগস্থলের আশপাশে কোন মৎস্য খামারের অস্থিত্ব নেই। এদিকে পাশাপাশি দুইটি সেচ হওয়ায় প্রকৃত সেচ মালিক আবুল হোসেন ব্যাপক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পীরগাছা জোনাল অফিসে একটি অভিযোগ দিলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী অবৈধ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হলেও দুইদিন পর ২৮ ফেব্রুয়ারী লাগানো হয়। আবারও অভিযোগ করা হলে গত ৬ মার্চ পুনরায় সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত খুঁটির জোরে গত ২৪ মার্চ আবারো ওই সংযোগটি লাগান বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন।
ভূক্তভোগী আবুল হোসেন বলেন, পীরগাছা জোনাল অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী অর্থের বিনিময়ে বার বার এ ধরণের লাইন বিচ্ছিন্ন করণ ও সংযোগ প্রদানের লুকোচুরি খেলছে। বার বার অভিযোগ দিলেও কোন সুরাহা মিলছে না।
এ ব্যাপারে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পীরগাছা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নুরুজ্জামান বলেন, ভূয়া মৎস্য খামার দেখিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিলেও আমরা ৮ টাকা ৫৩ পয়সা রেটে বিল নিচ্ছি। আর সেচের বিল ৪ টাকা ১৬ পয়সা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও কয়েকজন নেতাকর্মীর সুপারিশে সংযোগটি লাগানো হয়েছে। বোরো মৌসুম শেষ হলে আবার বিচ্ছিন্ন করা হবে। যা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোঃ নুরুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। কোন অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।