পাবনার সাঁথিয়ায় দলীয় কোন্দলের জের ধরে আলহাজ (২৮) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। আহত-৫ জন। নিহত আলহাজ ঘুঘুদহ গ্রামের (পূর্বপাড়ার) মানিকের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবাবœ দুপুরে। আহতরা হচ্ছেন, নিহতের ভাই জেল হক শেখ(২০), একই গ্রামের মতিউর রহমান (৩০), রবিউল ইসলাম(২৫), আবদুল বাতেন(৩৭),আব্দুল খালেক(১৯)। আহতদের সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় মতিউর রহমানকে এবং লাশ দেখে স্ট্রোক করা খালেককে পাবনা হাসপাতলে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছেএবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার গৌরিগ্রাম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে স্রবেশ মোল্লা ও মোসলেম মাস্টার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী গৌরিগ্রাম ইউনিয়ন আ.লীগের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনাস্থলে সরবেশ মোল্লা গ্রুপ ও মোসলেম মাস্টার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে কাউন্সিল স্থগিত করা হয়। গত সোমবার ২৯ মার্চ দলীয় ভাবে সরবেশকে ওই ওয়ার্ডের সভাপতি ঘোষনা করা হয়। এ নিয়ে ঘুঘুদহ এলাকায় দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। এরই জেরে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন অজুহাতে দুগ্রুুপ দেশীয় অস্ত্রে সজি¦ত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে অস্ত্রাঘাতে গুরুতর আহত আলহাজ্ব শেখকে সাঁথিয়া হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জেলহককে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করেন। আলহাজের মৃত্যুর সংবাদে সরবেশ গ্রুপের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসলেম গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে মতিয়ারসহ ৩জন আহত হয়। নিহত আলহাজ ৯নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি সরবেশের নাতী।
সংবাদ পেয়ে সাঁথিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রনে আনেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মসলেম মাস্টার গ্রুপের প্রধান মসলেমসহ ১৩ জনকে আটক করে। আটককৃতরা মসলেম মাস্টার(৪৫), শহিদুল ইসলাম(৩৯), শওকত হোসেন(২৫), মজনু(২৭), এমদাদুল হক(৫০), জহির(৪০), শাহিন(৩৫), রিকাত আলী(৬৫), আবেদীন (৫৫), কামাল(৩৭), মাসিদুল (২৪), নবু প্রাং (৫০),শাহাব উদ্দীন(৩৫)। আটককৃতরা সবাই ঘুঘুদহ গ্রামের বাসিন্দা।
বেড়া এএসপি (সার্কেল) জিল্লুর রহমান জানান, নিজেদের অভ্যন্তরিন ও নেতৃত্বের কোন্দলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছু লোকজনকে আটক করা হয়েছে। যাতে নিরাপরাদ কেউ হয়রানীর স্বীকার না হয় ,সে দিকে খেয়াল রেখে আসামি আটকের চেষ্টা করছি।
সাঁথিয়া থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ(ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান,ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষে ব্যবহৃত লাঠি,ফালা, তীর-ধনুকসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৩জনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলার দয়রামপুরে দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একজন নিহত হয়।