কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্কুলের পাশে ইটের ভাঁটা গড়ে তুলেছেন এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। ইটভাটার কারণে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়লেও ইটভাটা মালিকরা তার তোয়াক্কা না করে বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছেন ইটের ভাটা।
তাছাড়া, ইটভাটায় প্রতিদিন শতমত ভটভটি ও ট্রাক চলাচল করায় শিক্ষার্থীরা মারাতœক শব্দ দুষণের শিকার হচ্ছেন।
উপজেলার চক দৌলতপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছনে রমজান আলী নামে এক ব্যাক্তি কয়েক বছরের ব্যবধানে স্কুল লাগোয়া জমিতে দুটি ইটের ভাঁটা গড়ে তুলেছেন। তিনি আবার দৌলতপুর ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি।
সম্প্রতি উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান চললেও তার ইটভাটায় কোন অভিযান হয়নি। এ নিয়ে ইটভাটা সমিতির কয়েকজন সদস্য তার প্রতি বিষেদগার করেছেন। জানাগেছে বিষয়টি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়িয়ে ছিল।
চক দৌলতপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিদুজ্জামান জানান, ভাঁটা মালিকরা প্রভাবশালী। তাই শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুকির মধ্যে পড়লেও তারা কোন ধরণের প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।
ইটভাটা মালিক রমজান আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার নিজস্ব জমিতে ইটভাটা তৈরী করেছেন। আর স্কুলের পাশে ইটের ভাঁটা প্রসঙ্গে বলেন, কোন সমস্যা হয়না। তাছাড়া, স্কুলে তেমন ছাত্র/ছাত্রী নেই।
একই ভাবে উপজেলার মানিকদিয়াড়-সাদিপুরে আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যাক্তি নোবেল হোপ স্কুল ঘেঁসে ইটভাটা স্থাপন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, তিনি শুধু কাঠ পোড়ানোর দায়ে জরিমানা করতে পারেন। স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ইটভাটা উচ্ছেদ বা বন্ধ করার বিষয়ে তাঁর কিছুই করার নেই।