পাওনা টাকা দাবী করায় নোয়াখালীর সেনবাগে উপজেলার ছমির মুন্সির হাট বাজারের এক গরু ও মাংস ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান প্রকাশ আপন (৩৬) কে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে ও শ^াস রোধ করে হত্যার চেষ্ঠা। এবং ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাবার ঘটনায় জড়িদের গ্রেফতার ও থানা পুলিশের মামলা নিয়ে টাল বাহানা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাজারের ব্যবসায়ীরা।
শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আধা ঘন্টা ব্যাপী ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের ছমির মুন্সির হাট বাজারে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-আহত আপনের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান ও ব্যবসায়ী স¤্রাট।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন,প্রতিবেশী শায়েস্তানগর গ্রামের সাহেব উল্লাহ ছেলে জাফর প্রকাশ সোহাগের নিকট মাংস বিক্রির বাকী ১৮শ টাকা তার ভাই জহিরুল ইসলাম সুমনের দাবী করে “আল্লাহদান” মাংস ও গরু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আপন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয় এবং গত বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে একই এলাকার বাবুলের ছেলে মোঃ ওমর ফারুক(৩০)সাহেব উল্লাহ ছেলে জহিরুল ইসলাম সুমন(২৮)ছালে উদ্দিনের ছেলে রিয়াদ(২৫)সুরুজ মিয়ার ছেলে ইফসুফ(৩২)এবাদউল্লাহ ছেলে ইব্রাহিম (২৩) নেতৃত্বে অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন মোটরসাইকেল,ও হাইস গাড়ী যোগে ছমির মুন্সির হাট পশ্চিম বাজার আপনের আল্লাহদান নামক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে তাকে লোহার রড়, হকিষ্টিক ও লাঠিসোটা দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে ও শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্ঠা চালায়। এ সময় তার আত্মচিৎকারে দোকানের দুই কর্মচারী তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তারা সুজন ও সুমন নামের ওই দুইজনকেও এলোপাথাড়ী পিটিয়ে আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা ব্যবসায়ীর ২০লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও আজ পর্যন্ত অভিযোগটি এফআইআর হিসাবে গ্রহণ না করে বিভিন্ন টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেন বাদি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান।
এব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসর ইনচাজর্ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।