রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রামজীবন এলাকায় সড়কের পাশে লাগানো ৮৩টি সরকারী গাছ বিনা টেন্ডারে কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার ও সুবিধা ভোগী ভাই ভাই ষ্পোটিং ক্লাবের সদস্যরা এই গাছ কাটার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে জড়িত বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেটে রাখা কয়েকটি ইউক্যালিপট্যাস গাছ পড়ে আছে। কিছু ছ’মিলে নিয়ে রাখা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ জানান, সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পরিবেশ বন্ধু গাছ গুলো যারা কাটার সাথে জড়িত তাদের গাছ কাটা বন্ধ করার অনুরোধ করেও কোন কাজ হয়নি।
রংপুর জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মতলুবুর রহমান জানান, গাছ গুলো বন বিভাগের নয়। তবে নিয়ম হলো যে কোন সরকারী জমির গাছ কাটার আগে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই আবেদনটি বন বিভাগে পাঠায়। বন বিভাগের কাজ হলো ওই গাছ গুলো দেখে বিক্রির জন্য মূল্যের পরিমান নির্ধারণ করে দেয়া। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টেন্ডার আহবান করবেন অথবা স্থানীয় পলিসি অনুযায়ী কাজ করবেন। এ ক্ষেত্রে সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার ও সুবিধা ভোগী ভাই ভাই ষ্পোটিং ক্লাবের সদস্যরা সরকারী কোন নিয়ম মানেন নি।
সূত্রে জানা গেছে, সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই গাছগুলো বিক্রির একটি রেজুলেশনে ইউপি মেম্বারদের স্বাক্ষর নিয়ে ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলমগীরের কাছে স্বল্প মূল্যে গাছ গুলো বিক্রি করে দেন। এ ব্যাপারে সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদিয়া সুমী বলেন, এমন অভিযোগ শুনে সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তাকে সেখানে পাঠিয়ে গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।