ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রাম যুব সংঘের আয়োজনে ও কাষ্টভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খানের সার্বিক সহযোগীতায় রোববার দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঝনঝনিয়া বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক নাটক ”ফিরে দেখা একাত্তর”। নাটকটি পরিচালনা করেন ঝনঝনিয়া গ্রামের কৃতিসন্তান, লেকখ ও নাট্যকার আশরাফুজ্জামান টুটুল। এ নাটকে বঙ্গবন্ধুর নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, পাক আর্মির ভূমিকায় জুয়েল রানা, ছাত্র হোসেন আলী, রাজাকারের অভিনয় করেছেন হবিবার রহমান, আবদুর রাজ্জাক ও ইমান আলী, মুক্তি বাহিনীর কমান্ডারের অভিনয় করেছেন মাহফুজুর রহমান রকি, ডাব বিক্রেতা মুক্তিযোদ্ধা, ইডেন কলেজের ছাত্রী ও নর্তকীর অভিনয় করেছেন আবদুর রাজ্জাক সহ আরো অনেকে।
নাটকটি মূলত ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষনের পর এদেশের দামাল ছেলেরা যেভাবে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে এদেশকে মুক্ত করে এনে দিয়েছিল একটি স্বাধীন দেশ, একটি ভূ-খন্ড, একটি লাল সবুজের পতাকা। ৭১ সালের যুদ্ধর সেই ভয়াবহ দিনগুলি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই ছিল এ নাটকের মূল বিষয়বস্ত। ফিরে দেখা একাত্তর নাটকের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম যেন সেই ভয়বহ যুদ্ধের চিত্র, রাজাকারদের চাটুকারিতা লুটপাটের ঘটনা, পাক আর্মিদের অত্যাচার, স্বরনার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা ও ২৫ মার্চ কালো রাতের সেই ঘটনা এবার স্বচক্ষে দেখলো নতুন প্রজন্ম।
এ বিষয়ে কথা বলেন নাটকের লেখক ও পরিচালক আশরাফুজ্জামান টুটুলের সাথে, তিনি বলেন, পাকিস্থানি শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছরেরও বেশি সময় কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা, কয়েক বার ফাঁসির কাষ্টের মুখোমুখি, অসংখ্য মিথ্যা মামলায় অসংখ্যবার কারাবরণ করার পরও এদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে প্রেরণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বক্তব্যে বাঙালিদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষে পাকিস্থানিদের বিরুদ্ধে মরণপন সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিল। সেই ঘটনাটি ফিরে দেখা একাত্তর নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার ১০নং কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান বলেন, ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে কিভাবে পাক-হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালানোর পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্তে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। কিভাবে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র আমরা পেয়েছি সেটা বোঝানে হয়েছে ফিরে দেখা একাত্তর নাটকের মাধ্যমে।