১৯৯৬ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্ত্রী জোহরাকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করানোর ঘটনায় মামলা হয় সাতক্ষীরার নুরুলের নামে। সাজা হলে পরে আপিল করেন তিনি। এর মধ্যে সাড়ে ২৩ বছর কারাভোগ করেন নুরুল। অবশেষে আপিল আবেদনে মিললো জামিন। রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। ১ এপ্রিল নুরুল ইসলামের আইনজীবী আপিল বিভাগকে বলেন, এই আসামির যাবজ্জীবন সাজা খাটার মেয়াদ শেষের দিকে হলেও আপিল শুনানি শেষ হয়নি। পরে আপিল বিভাগ দ্রুত আসামির কারাভোগের মেয়াদ জানাতে নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, আসামি ইতোমধ্যে ২৩ বছর ৬ মাস সাজা খেটেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ২৪ জুন সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিজ স্ত্রী জোহরাকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করান নুরুল। মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় পুকুরে। এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন নুরুল। ২০০১ সালে নুরুলকে যাবজ্জীবন সাজা দেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ২০০৩ সালে হাইকোর্ট নুরুলের যাবজ্জীবন বহাল রাখেন। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন জানায় তার আইনজীবী।