চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীর লালপুর এলাকায় ট্রলার থেকে ২৫০ মণ (১০ হাজার কেজি) জাটকা জব্দ করেছে নৌপুলিশ। এ সময় জাটকা পাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। রোববার বিকেলে চাঁদপুর নৌ থানার ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, পাশের একটি জেলা থেকে ট্রলারে করে জাটকার বড় চালান ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছেÑ এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে মেঘনা নদীর লালপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রলার থেকে ২৫০ মণ জাটকা জব্দ করা হয়। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পাচারের সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে বিষয়টি চাঁদপুর জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল মোর্শেদের নির্দেশে জব্দ জাটকাগুলো দুপুরে চাঁদপুর নৌ থানার সম্মুখে গরীব, দুস্থ ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে নির্দেশ প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, জেলা আওয়ামী মৎস্যলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক দেওয়ান, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাবুবুর রশিদ। জাটকা রক্ষায় সরকার ০১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে। ফলে এই সময়ে জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করলে মৎস্য আইনে দুই বছরের কারাদণ্ড কিংবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরে জাটকা নিধনের অপরাধে ০১ মার্চ থেকে ০৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে আটক ২১৫ জন জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।