করোনা ভাইরাস বেড়ে যাওয়ায় সরকার থেকে সাতদিনের লকডাউন ঘোষণার পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারে লেনদেন। এদিন বিনিয়োগকারীরা অনেকটা আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করায় সূচকে বড় ধস দেখা দেয়। তবে এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল রোববার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৮১ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ৩৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮২ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১১৬৬ ও ১৯০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গতকাল রোববার ডিএসইতে ৫২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে ৭০ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৪৫১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল। গতকাল রোববার ডিএসইতে ৩২৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭টি কোম্পানির, কমেছে ২৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর। গতকাল রোববার লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো-বেক্সিমকো লিমিটেড, রবি, বেক্সিমকো ফার্মা, এশিয়া প্যাসিফিক, লংকাবাংলা, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জহোলসিম, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বিএটিবিসি ও সামিট পাওয়ার। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৫৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭১৪ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির কোম্পানির শেয়ার দর। গতকাল রোববার সিএসইতে ৭৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৫০ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার।