ফরিদপুর জেলায় ব্যক্তিগত নলকুপগুলোর মধ্যে কি পরিমাণ আর্সেনিকযুক্ত তা সনাক্ত করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ একটি অ্যাপস তৈরি করেছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে এসকল নলকুপের একটি মানচিত্র পাওয়া যাবে যার মাধ্যমে ইউনিয়নভিত্তিক নিযুক্ত পরীক্ষা কর্মীরা সেগুলো আর্সেনিকযুক্ত কিনা তা পরীক্ষার উদ্যোগ নিবেন।
রোববার দুপুরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অবহিতকরণ সভায় এতথ্য জানানো হয়। জনস্বাস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও হাইলাইট ফাউন্ডেশন (এইচএলএফ) এর বাস্তবায়সেন ডিপিএইচই ফরিদপুর ডিভিশন এ সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধদিপ্তররে নর্বিাহী প্রকৌশলী মোঃ শফকিুল আলম এইচএলএফের টিম লিডার মো. হিফজুর রহমান, কো টিম লিডার মো. শামীম পারভেজ, সরকারী সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী গোলাম মোস্তাফাসহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ১৯৯৩ সাল হতে ফরিদপুর জেলায় আর্সেনিকের রোগী চিহ্নিত হয়। এরপর আর্সেনিক ঝুঁকি এড়াতে আর্সেনিকযুক্ত নলকুপ চিহ্নিত করণের উদ্যোগ নেয়া হলেও মাঝপথে সেটি থেমে যায়। এতে বর্তমানে আর্সেনিকের ঝুঁকি আরো বেড়ে গেছে। কিন্তু জনসাধারণের বাসাবাড়িতে প্রতিনিয়ত ব্যক্তিগত নলকুপ স্থাপন হচ্ছে যা আর্সেনিকমুক্ত তা পরীক্ষা করা হয়না। এজন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নতুন করে এই উদ্যোগ নিয়েছে।