আইসিসির আইনের ৪১.৫ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, রানিং বিটুইন দ্য উইকেটের সময় কোনো ব্যাটসম্যানকে শব্দ দ্বারা প্রভাবিত করা কিংবা ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়ে বিভ্রান্ত করা অথবা ব্যাটসম্যানকে রান নিতে কোনো বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আটকাতে গেলে ব্যাটসম্যান আউট তো হবেনই না, উল্টো ৫ রান পেনাল্টি দেওয়া হবে ফিল্ডিং দলকে। অথচ সে নিয়মের তোয়াক্কা না করে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ফখর জামানকে আউট করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। এই ঘটনার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে সমালচনার ঝড়। রোববার দ্বিতিয় ওয়ানডেতে এইডেন মার্করামের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ফখর জামান। দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন তিনি। তবে ১৯৩ রানে সাজঘরে ফিরতে হয়ে এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে। ফখর প্রোটিয়া ফিল্ডার মার্করামের থ্রোতে আউট হলেও তাতে বড় অবদান ছিলো ডি ককের। কারণ, ফখরকে বিভ্রান্ত করেছেন তিনি। এ ঘটনার পর প্রশ্নবিদ্ধ ডি কক, আঙুল উঠেছে ম্যাচ অফিশিয়ালদের দিকেও। স্বাগতিকদের দেওয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ব্যাট হাতে ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন ফখর জামান। চলে গিয়েছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছেই। নিজেদের ইনিংসের শেষ ওভারে কাগিসো রাবাদার করা বল লং অনের দিকে ঠেলে দিয়ে দুই রানের জন্য দৌড়ান তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় রান পূর্ণ করার আগেই তাকে বিভ্রান্ত করেন ডি কক। পিচের সোজাসুজি হাত তুলে এমন ইশারা করেন যেন থ্রো-টা লং অফ থেকে নয় বরং লং অনের কাছাকাছি কোনো অঞ্চল থেকে ছুড়ছেন ফিল্ডার। এই ফাঁদে পা দিয়ে বসেন ফখর। দৌড়ের গতি কমিয়ে দেন তিনি। ডি ককের ইশারা পেছনে ফিরে দেখতেই লং অফ থেকে করা মার্করামের থ্রো সরাসরি এসে উইকেট ভেঙে দেয়। ৭ রানের আক্ষেপ সঙ্গী করে ১৯৩ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় ফখরকে। আইসিসির ৪১.৫ ধারায় যেখানে স্পষ্ট লেখা, কোনো দল এমন প্রতারণার আশ্রয় নিলে বিপক্ষ ব্যাটসম্যান আউট তো হবেনই না, উল্টো ৫ রান পেনাল্টি পাবেন। সেখানে ফখরের এমন আউট অন-ফিল্ড আম্পায়রদের দৃষ্টি কীভাবে এড়িয়ে যায় এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে ডি ককের ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়েও।