দেশব্যাপী লকডাউনের প্রথম দিনে আশাশুনিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনীহার প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হলেও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পরবর্তী দিনগুলির অবস্থা সম্পর্কে মানুষকে জানান দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঠে নেমে লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করা হয়।
উপজেলার প্রধান বাজার বুধহাটা বাজারে সকাল থেকে ১৮ দফা বিধিনিষেধ মেনে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান বাদে সকল দোকান বন্ধ রাখা হয়। তবে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখাগেলেও অধিকাংশের মুখে মাস্ক পরা ছিল। আশাশুনি-সাতক্ষীলা ও দরগাহপুর-সাতক্ষীরা সড়কে কোন বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যান, মোটর সাইকেলে যাত্রী এবং অফিস ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মানুষের যাতয়াত করতে হয়। অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও যথা নিয়মে ছিলনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুসেইন খাঁন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সুলাতান উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও হাট-বাজারে লকডাউন সফল করতে অভিযান পরিচালনা ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন অমান্যকারীদের জরিমানা করেন। বড়দলের বাবু সরদারকে ১০০ টাকা, কল্যাণপুরের আকরামকে ৫০০ টাকা, শ্রীকলসের রফিকুলকে ৫০০ টাকা, আশাশুনির ফারুক, জামাল ও সালমানকে ৩০০ টাকা, ফকরাবাদের রবিউলকে ২০০ টাকা, বাসুদেবপুরের আজহারুলকে ২০০ টাকা, কাদাকাটির নিশিকান্তকে১০০ টাকা, নাটানার রামকৃষ্ণকে ১০০ টাকা, জি এম আবু তলেবকে ৩০০ টাকা, ফকরাবাদের নিকুঞ্জ মন্ডলকে ১০০ টাকা, গজালিয়ার জাহাঙ্গীর, মামুন ও আমিরকে ১৫০০ টাকা এবং মাড়িয়ালার নাজমুল ও রমজানকে ৫০০ টাকা মোট ৪৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাহুত মানুষের ভীড়, মানুষের আনাগোনা ও স্বাস্থ্য বিধি-সরকারি নির্দেশনা অমান্যকরার প্রবনতা রোধে ব্যাপক কর্মতৎপরতা গ্রহন করা হয়।