কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের মোঃ শমছু মিয়া গং ও কাউছার গং দের মাঝে বাড়ীর জায়গা নিয়ে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। মোঃ শাহাব উদ্দিন বাদি হয়ে গত সোমবার ৫ এপ্রিল নিকলী থানায় কাউছার, মোঃ হৃদয়, জীবন মিয়া সহ অজ্ঞাত দুই জনের নামে অভিযোদ দায়ের করেন। গুরুতর আহত মোকারম মিয়া (৩৫) কে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও লোকমান মিয়া (৩০), সোহাগ মিয়া (৩০) ও তানজু আক্তার (৩০) কে নিকলী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলকা ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোঃ শমছু মিয়া গং ও কাউছার গং দের মাঝে বাড়ীর জায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ঝগড়া চলে আসছিল। এরই জের হিসাবে কাউছার গং রা শনিবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে তর্ক-বিতর্কের শেষে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে শমছু মিয়ার লোকজনদের উপর হামলা চালালে চার জন আহত হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, সামসু মিয়া গং ও কাওছার মিয়া গংদের মাঝে বাড়ীর জায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিনে ধরে ঝগড়া চলে আসছিল। ঐ দিন রাতে কাওছার মিয়া গংরা বাড়ীর জায়গা নিয়ে সামসু মিয়ার লোকজনের উপর হামলা চালায় ও বাড়ীর অন্যান্য জিনিসপত্র সহ ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিকলী থানার ইনচার্জ শামছুল আলম ছিদ্দিকি বলেন, উভয়পক্ষের অভিযোগ থানায় গ্রহণ করা হয়েছে।
সেই ভ্যান চালকের ছোট ভাই চট্টগ্রাম মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেলেন
বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের হালিমপুর উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র মোঃ ছগীর হোসেন সদ্য প্রকাশিত ডাক্তারি পড়াশোনা করার জন্য সুযোগ পেলেন। সে বাজিতপুর উপজেলার হালিপুর ইউনিয়নের গরীব কৃষক ইশাদ মিয়ার ছেলে। তার পরিবারের মধ্যে বড় ভাই সুমন মিয়া ভ্যান চালক। তার ভাই সুমন, পিতা ইশাদ মিয়া ছেলেকে মানুষ করতে কষ্ট করে যাচ্ছেন। সে এস.এস.সিতে হালিমপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১২টি বিষয়ের মধ্যে ১১টি তেই ৯০ নম্বরের বেশী পেয়েছিলেন। এইচ.এস.সিতেও একই ফলাফল করেন। কোন কোচিং ছাড়াই সগীর হোসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছেন। অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মেহেরুন্নেছা জানান, স্কুল ও তার নিজস্ব প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লেখাপড়া করার সুযোগ হওয়ায় তারা সকল শিক্ষক গর্ভীত বোধ করছেন।