কেশবপুর পৌর শহরের মাইকেল মোড়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ওপর নির্মিত একটি চায়ের দোকানঘর ভেঙ্গে এলাকার একটি মহল জোর পূর্বক চলাচলের রাস্তা নির্মাণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পৈত্রিক জমি রক্ষায় ভুক্তভোগী আলমগীর কবীর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তিনি অভিযোগটির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে কেশবপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জকে নির্দেশনা দেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের আলতাপোল মৌজার সাবেক ৩২৬ দাগের ৬৩ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে ভোগদখল করে আসছেন আলতাপোল এলাকার কামরুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, আলমগীর কবীর, আবুল কালাম, রশিদা খাতুন, সালেহা খাতুন ও জাহাঙ্গীর আলম। শরীকানা জমি বন্টনের সময় যশোর সাতক্ষীরা সড়কে বের হবার জন্যে এলাকার কাউন্সিলরসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ৯ ফুট জমি দিয়ে একটি রাস্তা নির্মানের মৌখিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু জমি বিক্রির সময় কামরুজ্জামান ও মনিরুজ্জামান রাস্তা না রেখেই ওই জমির সামনের অংশের ৩৯ ফুট জমি বিক্রি করে দেন জনৈক হাসেম আলীর কাছে। এ সময় হাশেম আলী রাস্তা না রেখেই কৌশলে বসতঘর নির্মাণ করেন। যার ফলে ওই জমির পিছনের অংশের মালিক প্রভাত কুমার মল্লিক ও মুনসুর আলী বের হবার রাস্তা বন্ধ হয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ সময় জমির মালিকরা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় আলমগীর হোসেন, রশিদা খাতুন ও সালেহা বেগমের জমির উপর নির্মিত চায়ের দোকান ঘর ভেঙ্গে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্তসহ হুমকিধামকি দিয়ে আসছেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত ১৬ মার্চ আলমগীর কবীর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে কেশবপুর থানার ওসিকে রেফার্ড করেন।
আলমগীর কবীরের অভিযোগ, বিরোধপূর্ণ জমিটি শরীকানা হওয়ায় আমরা ৩ ফুট ও কামরুজ্জামানরা ৬ ফুট জমি ছেড়ে দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে কামরুজ্জামানরা রাস্তা না রেখেই জমি বিক্রি করে দেয়। ফলে পেছনের দুটি পরিবারের রাস্তা না থাকায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
কেশবপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ জসীম উদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েই সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি নিরসনের চেষ্টা চলছে।