নেত্রকোনাস্থ দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা.মোঃ মেহেদী হাসান’কে অকথ্য ভাষায় গালাগাল,হুমকী ও মারধরের অভিযোগে আতাউল করিম মাহ্ফুজ মড়ল(২৮)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানাযায় উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মড়লবাড়ীর মোঃ নিজাম উদ্দিনের পুত্র আতাউল করিম মাহ্ফুজ মড়ল(২৮) একটি ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ। সে প্রায় সময়ই তাঁর কোম্পানির ওষুধ রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লিখার জন্য ঐ ডাক্তারকে বিরক্ত করতো। অফিস চলাকালিন সময়ে কোন রিপ্রেজেন্টেটিভ হাসপাতালের বহিঃর্বিবিভাগে প্রবেশ করতে পারবেনা বলে সাইনবোর্ড দেওয়া থাকলেও ৬ এপ্রিল সকাল পোনে ১১টার দিকে ঐ রিপ্রেজেন্টেটিভ এর কোন তোয়াক্কা না করে ডাক্তারের সরকারী অফিস ১০৩ নং কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করিয়া তাঁর কোম্পানির ওষুধ রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লিখার জন্য ঐ ডাক্তারকে চাপ সৃষ্টি করে, ডাক্তার অপারগতা স্বীকার করলে ঐ রিপ্রেজেন্টেটিভ ডাক্তারের উদ্দেশ্যে গালাগাল করতে থাকলে ডাক্তার’ও একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে রুমথেকে বেড়হয়ে যেতে বললে উল্লিখিত রিপ্রেজেন্টেটিভ ডাক্তারের শরীরে কিলঘুষি মারিয়া ফুলাজখম করে এবং সরকারী কাজের বেঘাত ঘটায় এবং পরবর্তীতে তাকে দেখে নিবে বলে হুমকী দিয়ে কক্ষত্যাগ করে ঐ রিপ্রেজেন্টেটিভ। এ বিয়য়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তার লিখিত অনুমতিক্রমে আহত মেডিকেল কর্মকর্তা ডা.মোঃ মেহেদী হাসান বাদী হয়ে আতাউল করিম মাহ্ফুজ মড়ল(২৮) এর বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে ঐদিনই দুপুরে গ্রেফতার করে।
এদিকে গ্রেফতার হওয়া মাহফুজ মড়ল বলেন আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা নাই তবে শুধুই কথা বিনিময় হয়েছে। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার কর্মকর্তা ইন-চার্জ(ওসি) শাহ্ নূর-এ আলম প্রতিনিধিকে বলেন অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে এর প্রেক্ষিতে উল্লিখিত বিবাদী মাহ্ফুজ মড়ল’কে গ্রেফতার করা হয়।