পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ উল্লেখ করে ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আলাদা কোন দেশ নয়। পাহাড়ি-বাঙালি আমরা সকলেই বাংলাদেশী। আমাদের পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। এ পরিচয়েই আমরা সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছি। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ যেন মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করে তিনি।
মাটিরাঙ্গার তবলছড়ির লাইফু কুমার কার্বারী পাড়ায় বাঙালি কৃষকদের উপর ইউপিডিএফর সশস্ত্র হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনের আগে স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালী সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
৭ এপ্রিল মঙ্গলবার তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, যামিনীপাড়া বিজিবি'র অধিনায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো: আবদুল আজিজ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যদি বাঙ্গালীদের উপর কোন ধরনের হামলা চালায় তাহলে বাঙ্গালীদের বিক্ষোভ মিছিল না করে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, পাহাড়ি-বাঙ্গালিদের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে যা যা করা দরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে সরকার।
পাহাড়ের শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পাহাড়ি-বাঙালীদদের মিলেমিশে বসবাস করার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, বাঙালিদের উপর হামলার ঘটনায় যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ ফারজানা আক্তার ববি, মাটিরাঙ্গা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মুহাম্মদ আলী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা, মো. মাইন উদ্দিন, মো. আবদুল জব্বার, তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাদের ও তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লখ্য গত ৪ এপ্রিল বাঙালী কৃষকদের উপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১৩ বাঙ্গালি আহত হয়। খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সাবেক চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়াসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ হতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ি করলেও কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে ইউপিডিএফ’র খাগড়াছড়ি শাখার সংগঠক অংগ্য মারমা দাবি করেন।