নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ও উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১০ হাজর দুস্থ, অসহায় নারী-পুরুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, সারাদেশে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কঠোর বিধি নিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই খেটে খাওয়া ও সিএনজি শ্রমিক, রিক্সা শ্রমিকসহ অসহায়১০ হাজার পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করছি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ প্রশাসন আমাকে পৌর চত্বরে ত্রাণ বিতরণ করতে দেয়নি। পরে আমি বসুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে সকল ওয়ার্ডের কমিশনারদের ডেকে তাদের লোকজনকে নিয়ে আসতে বলি, তারা আশার আমি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করি এবং পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ২৭শত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করি। এই ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার কথা ছিল পৌরসভার বটতলায় কিন্তু পুলিশ প্রশাসন আমাকে ত্রাণ সামগ্রী দিতে বাধা প্রদান করায় দিতে পারিনি।
এ সময় কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কাদার হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ, সহসভাপতি হাসান ইমাম বাদল, জামাল উদ্দিন, আইনবিষয়ক সম্পাদক শঙ্কর ভৌমিক, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আজিজুল হক, প্যানেল মেয়র, ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
কাদের মির্জা আরও বলেন, বিগত করোনাকালীন সময়ে আমার নেতৃত্বে বসুরহাট ডাক বাংলোতে অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টান করেছিলাম। কিন্তু ওই আইসোলেশন সেন্টার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান ইউএনও সন্ত্রাসীদেরকে দিয়ে আইসোলেশন সেন্টার ভেঙ্গে সেখানে সন্ত্রাসীদের থাকার ব্যবস্থা করে। আমি এটার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি জনপ্রতিনিধি সারাজীবন মানুষের সেবায় নিজকে নিয়োজিত করে আসছি। আর এই অর্জনগুলো প্রশাসন ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি জানিনা আল্লাহ ভালো বুঝেন তারা কেন এমন করছে প্রশাসনের রক্ষকেরা বক্ষন করছেন।