কালিগঞ্জে প্রতিবেশীর বাড়িতে ছাগল প্রবেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের পরিকল্পিত হামলা ও মারপিটে বৃদ্ধ দম্পতি হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেল ৬ টার দিকে উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের পানিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দেয়া হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পানিয়া গ্রামের মৃত হোসেন আলী গাজীর ছেলে আবদুস ছাত্তার গাজীর (৫৭) সাথে প্রতিবেশী আবদুল গফফার গাজীর পূর্ব থেকে বিভিন্ন কারণে বিরোধ চলছে। গত সোমবার বিকেলে আবদুস ছাত্তারের একটি পোষা ছাগল আবদুল গফফারের বাড়িতে প্রবেশ করলে তারা ছাগলটিকে মারপিট করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে আাব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী আমিনা খাতুন (৪৮) প্রাণিটিকে মারপিট করতে নিষেধ করে। এতে উত্তেজিত অশ্লীল গালিগালাজ করার একপর্যায়ে মৃত হোসেন আলী গাজীর ছেলে আবদুল গফফার গাজী (৫৫), তার ছেলে নূর হোসেন (২৫), আবদুল গফফারের ভাই শহীদ গাজী (৫০), তার স্ত্রী শামছুন নাহার (৪০), ইমান্দি সরদারের ছেলে ইশার আলী (৪৮)সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আমিনা খাতুনের বাড়িতে প্রবেশ করে তার উপর দা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে ও শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় একটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় তারা। প্রতিপক্ষের হামলা থেকে স্ত্রীকে রক্ষা করতে যেয়ে ব্যাপক মারপিট করার পাশাপাশি শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা আমিনা খাতুন ও আবদুস ছাত্তারকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে আবদুস ছাত্তার বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিয়েছেন।
কালিগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে বৃদ্ধ দম্পতি মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। অতিদ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।