আশাশুনি উপজেলা সদরে জেলেখালী-দয়ারঘাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ী বাঁধের নির্মান কাজ দীর্ঘ ৯ মাস পর আলোর মুখ দেখেছে। বুধবার (৭ এপ্রিল) ভাঙ্গনের দু’টি ক্লোজারে জিও বস্তা ফেলে আটকানোর পর জিও টিউব স্থাপনের মাধ্যমে কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে।
গত বছর (২০২০ সাল) ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তান্ডবে জেলেখালী ও দয়ারঘাট বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাসেও বাঁধ রক্ষার কাজে হাত দেওয়া হয়নি। এলাকার একটি বড় অংশ বাইরে রেখে রিং বাঁধের মাধ্যমে বাকী এলাকাকে জোয়ারের পানির প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছিল। এবছরের ৩০ মার্চ খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় রিং বাঁধ ভেঙ্গে পুনরায় সদর ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। অনেক পরিশ্রমে ভাঙ্গন কবলিত রিং বাঁধ রক্ষার কাজ সম্পন্নের পর শনিবার (৩ এপ্রিল) থেকে মূল বাঁধে দু’টি পয়েন্টে ২১০ ফুট ভাঙ্গনে ক্লোজারের বেডের কাজে হাত দেওয়া হয় এবং ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৬৫৪টি জিও বস্তায় বালি ভরে ক্লোজারের চাপান কাজ সম্পন্ন করা হয়। ৬ ও ৭ এপ্রিল ৩৭টি জিও টিউবে বালি ভরে স্থাপন করা হয়। সাথে সাথে মাটি দিয়ে মূল বাঁধের কাজ শুরু করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার ও এসডিই মাজহারুল ইসলাম জানান, ভাঙ্গন কবলিত রিং বাঁধের কাজের পর মূল বেড়ী বাঁধের দু’টি পয়েন্টে ২১০ ফুট ভাঙ্গন স্থানের চাপান কাজ ও জিও টিউব স্থাপনের কাজ শেষ করা হয়েছে। সাথে সাথে মাটির ফেলানোর কাজ করা হচ্ছে। জেলেখালী ও দয়ারঘাট এলাকার চরম ঝুঁকিতে থাকা ৫৩৫ মিঃ মূল বেড়ী বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। এ ছাড়া নিমতলা এলাকার ২৫০ মিটার নির্মান কাজে সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা এবং মানিকখালী থেকে নিমতলা ৭০০ মিটার বাঁধ নির্মানের জন্য ৪১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেখানেও কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান। ঠিকাদার নাছির উদ্দিন মোল্যা জানান, ক্লোজার রক্ষার্থে যা কিছু করনীয় করা হচ্ছে। ক্লোজারে চাপানের পর জিও টিউব স্থাপন করে মাটির কাজ করা হচ্ছে। একই সাথে ৫৩৫ মিটার বেড়ী বাঁধের কাজ করার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে। ইনশাল্লাহ দ্রুততার সাথে কাজ সম্পন্ন করা হবে।