বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সহকারি কমিশনারের (ভূমি) নাম ভাঙিয়ে উপজেলা সদরের কয়েকটি হোটেল ও দই মিষ্টির দোকানে চাঁদাবাজির চেষ্টা করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পংকজ সরকার শ্যামলের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা নেয়ার চেষ্টা করা হয়। এদিকে ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও ওই ভূয়া এসিল্যান্ড পরিচয়দানকারীকে প্রশাসন এখনোও সনাক্ত করতে না পারায় ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পংকজ সরকার শ্যামলকে মুঠোফোনে ০১৬১০৪৭২৯১৫ নম্বর থেকে গত ২ এপ্রিল এক ব্যক্তি ফোন করেন। তিনি নিজেকে আদমদীঘি এসিল্যান্ড পরিচয় দেন। ওই প্রতারক পংকজ সরকার শ্যামল কে বলেন, উপজেলার সদরের মজনু মিয়া, শামসুল ইসলাম দেওয়ান বটু, অজিত ঘোষ ও সুবল ঘোষের মিস্টি ও দইয়ের দোকানে যে কোন সময় এসিল্যন্ড ভ্রাম্যামান আদালতের অভিযান পরিচালনা করবেন। প্রতারক বলেন, আমার মাধ্যমে টাকা দিলে স্যার আর অভিযান চালাবেন না। প্রতারক ওই সকল দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে দেয়ার জন্য পংকজ সরকার শ্যামলকে বলেন। পংকজ সরকার শ্যামল এসিল্যান্ডের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে দোকানীদের সাথে ওই প্রতারকের কথা বলিয়ে দেন। পরে এ বিষয়ে দোকানী মজনু মিয়ার সাথে প্রতারকের কথা হলে মজনু মিয়া কোন টাকা দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। একই ভাবে ইউপি সদস্য পংকজ সরকার শ্যামল অন্যান্য দোকানীদের সাথে প্রতারকের কথা বলিয়ে দেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর পংকজ সরকার শ্যামল বিষয়টি এ্যসিল্যান্ড ও থানার ওসিকে বিষয়টি জানান।
মিষ্টি ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম দেওয়ান ও হোটেল ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার সাথের কথা হলে তারা জানান, মোবাইল ফোনে ইউপি সদস্য আমাদের সাথে কথা বলিয়ে দেয়ার পর এসিল্যান্ড কে টাকা দিতে হবে বলে সে আমাদেরকে জানান এবং তা না হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা বলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহবুবা হক এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর পিবিআিইকে ওই প্রতারকের মোবাইল নাম্বার ট্যাকিং করার জন্য অবগত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।