আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় সরাইলে দেলোয়ার (২২) নামের এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ায় গত বুধবার রাতে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। মো. হান্নান মিয়ার ছেলে নিহত দেলোয়ার মিয়া পেশায় ছিলেন একজন সিএনজি চালক। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। ভাংচুর করা হয়েছে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গত বৃহস্পতিবার গ্রামের সাধুর গোষ্ঠীর আবু ছিদ্দিকের ছেলে শ্রমবিক্রেতা শাহ আলী (৩০) ও সফর আলীর গোত্রের আবু মিয়ার ছেলে আজগর (৩৫) মাঠে ধান কাটতে যায়। ধান কম বেশী করে আনার বিষয়ে তাদের মধ্যে প্রথমে বাক-বিতন্ডা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয় শাহ আলী। এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেমের কাছে বিচার প্রার্থী হন আহত শাহ আলীর চাচাত ভাই সাইদুল। আবারও বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে মাগরিবের পূর্ব মূহুর্তে উভয় পক্ষের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের দেড়শত গজ দূরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। কিছুক্ষণ পরই রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করেন দেলোয়ারকে। দেলোয়ারের স্বজনরা জানায়, প্রতিপক্ষের কয়েকজন মিলে দেলোয়ারকে ছুরিকাঘাত করেছে। এতে তার পেটের নারীভুরি বেরিয়ে গেছে। দ্রƒত জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর অবস্থার অবনতি দেখে দেলোয়ারকে ঢাকায় রেফার করা হয়। ঢাকায় প্রবেশের পরই রাত ১১টায় দেলোয়ার মারা যায়। দেলোয়ার নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে সাইদ মিয়াসহ তাদের গোত্রের ১৫-২০টি বসতঘর ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সরাইল থানা পুলিশ রাশিদ মিয়া (৫৫), তার দুই ছেলে এনাম মিয়া (৩৫) ও প্রবাসী জজ মিয়াকে (২৫) আটক করেন। সরাইল থানার এস আই মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুনেছি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। লাশ মর্গে আছে। এখনো লাশ দেখিনি। কে বা কাহারা ছুরিকাঘাত করেছে তাও কেউ নিশ্চিত বলতে পারছেন না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।